Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আর্থিক নীতিসমূহের সমন্বয় বাড়াতে হবে

আগস্ট ১, ২০১৫, ১২:২৬ পিএম


বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আর্থিক নীতিসমূহের সমন্বয় বাড়াতে হবে

    দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ এবং শিল্প, বাণিজ্য ও মুদ্রানীতিসহ আর্থিক নীতিসমূহের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। একইসাথে ব্যবসায় খরচ হ্রাসে উদ্যোগী ভূমিকা নেয়া জরুরি। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে ‘বাংলাদেশের জন্য নতুন বিনিয়োগ ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনায় অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা এমন অভিমত তুলে ধরেন। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) যৌথভাবে এ আলোচনার আয়োজন করে।

এমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিনিয়োগ বোর্ডের (বিওআই) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, জাতীয় সংসদ সদস্য এ কে এম মাইদুল ইসলাম, সানেম চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতির অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, ডিসিসিআই সাবেক সহসভাপতি সেকিল চৌধুরী, ব্রিটিশ-বাংলাদেশ টোবাকোর চেয়ারম্যান গোলাম মাঈনুদ্দীন, উত্তরা মোটরস্ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান । আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. এস এ সামাদ বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে অর্থনৈতিক নীতিসমূহের (শিল্প, বাণিজ্য, রাজস্ব ও মুদ্রানীতি) মধ্যে অধিকতর সমন্বয় স্থাপন করা জরুরী। এর জন্য সরকারের সব প্রতিষ্ঠান একত্রে কাজ করতে হবে। বর্তমানে বিওআই তার সেবাসমূহ আগের তুলনায় অনেক সহজ করেছে বলে তিনি জানান।

তিনি চলমান মুদ্রানীতির কর্মসূচিতে কিছু পরিবর্তন আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কেন্দ্রিয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বর্তমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় আর্থিক নীতিসমূহের ক্ষেত্রে সংস্কার আনা জরুরী। যেমন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গত কয়েকবছর যাবৎ সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এখন মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে ঋণপ্রবাহ বাড়িয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণের পরামর্শ দেন তিনি।

ফরাসউদ্দিন আরো বলেন, আর্থিক নীতিসমূহের মধ্যে এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস পেতে পারে। সেকিল চৌধুরী রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বা রাজনৈতিক সহিংসতাকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বাঁধা বলে উল্লেখ করেন। তিনি ব্যবসা বা বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ব্যবসায়ীদের নিয়মিত বৈঠক হওয়ার জরুরী বলে মন্তব্য করেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে নাসিম মঞ্জুর আর্থিক নীতিসমূহের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার তাগিদ দেন। বলেন, সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে নীতিসমূহের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয় না। এতে বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি এ ধরনের চর্চা বন্ধ করার পরামর্শ দেন। মূল প্রবন্ধে ভৌত অবকাঠামোর পাশাপাশি সামাজিক অবকাঠামোতে (শিক্ষা, স্বাস্থ্য) সরকারের বিনিয়োগ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। বলা হয়, এতে পরোক্ষভাবে বেসরকারী বিনিয়োগ উৎসাহিত হয়।