কৃষি ঋণের সুদহার কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি

জানুয়ারি থেকে কৃষিঋণের সুদহার শতকরা ২ শতাংশ কমে যাওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পল্লী অঞ্চলের কৃষকদের কথা চিন্তা করে কৃষি খাতের ঋনের পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন সরকার।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।

সুত্রে জানা গেছে, কৃষি খাতে ব্যংকগুলোর বিতরণ করা ঋণে বর্তমানে নির্ধারিত হারের তুলনায় ২ শতাংশ সুদ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বর্তমানে শতকরা ১৩ শতাংশ সুদ কৃষকদের পরিশোধ করতে হলেও  ১ জানুয়ারী ২০১৫ থেকে কৃষকরা ১৩ শতাংশের বিপরীতে ১১ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ নিতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

গত  ২১ ডিসেম্ভর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণলায়ে থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আমানত ও ঋণের সুদ হারের নিম্নমুখী প্রবণতা বিবেচনায় অগ্রাধিকার খাত হিসেবে কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদ হারের উর্ধ্বসীমা ১৩ শতাংশের পরিবর্তে ১১ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।
১ জানুয়ারী থেকে এ প্রজ্ঞাপন ও নির্দেশনা কার্যকর হবে। সংশ্লিষ্ট দফতরে সংশ্লিষ্টরা জানান, বাজার চাহিদা বিবেচনায় বেশ কিছুদিন ধরে ঋণ ও আমানতের সুদহার কমে আসছে। এমন পরিস্থিতির কারণে বা প্রেক্ষাপটে কৃষি খাতে সুদ হারের উর্ধ্বসীমা কমানো হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনে কৃষকরা বর্তমানের তুলনায় ভবিষ্যাতে বেশ উপকৃত হবেন। আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ১৯৮৯ সালের পর থেকে ব্যাংকগুলো নিজেরাই সুদহার নির্ধারণ করতে পারে। তবে বৈশ্বিক মন্দা পরবর্তীতে উৎপাদনশীল খাতে ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষি, মেয়াদি শিল্প, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি, রফতানিমুখী শিল্পসহ বেশ কয়েকটি খাতে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা  নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে ২০১১ সালে এক নির্দেশনার মাধ্যমে কয়েকটি খাত ছাড়া সুদহারের উর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হয়।

 তখন কৃষি ও মেয়াদি শিল্পে সুদহার নির্ধারণ করা হয় শতকরা ১৩ শতাংশ, সব ধরনের রফতানি ঋণে শতকরা ৭ শতাংশ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য তথা- চাল, গম,চিনি,ভোজ্য তেল,ডাল,ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর আমদানিতে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা শতকরা ১২ শতাংশ। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে আরেক নির্দেশনার মাধ্যমে প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ঋণ ও কৃষি ছাড়া অন্যান্য খাতে সুদহারের উর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক।