Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কমছে দাম

আমার সংবাদ ডেস্ক

জানুয়ারি ২, ২০২১, ০৩:৫৫ পিএম


ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কমছে দাম

দেশে সাড়ে তিন মাস ধরে আমদানি বন্ধ থাকার পর শনিবার (২ জানুয়ারি) পুনরায় ভারতীয় পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। দিনাজপুরের হিলি এবং সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করেছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই কয়েকটি ট্রাক দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে পণ্যটির আমদানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। এতে করে বন্দরের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজের চালান আসায় দেশের বাজারে এর দাম কমতে শুরু করেছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ৬-৮ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকায়।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। শনিবার দেশে ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালানটি এসেছে। গত ২৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজের ওপর থেকে ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এর ফলে শনিবার পর্যন্ত আমরা প্রায় ছয় হাজার টনের মতো পেঁয়াজের এলসি করেছি। ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে আসা অব্যাহত থাকলে ২০-২২ টাকা কেজির মধ্যে ক্রেতারা কিনতে পারবেন।

হিলি স্থলবন্দরের আড়তদার শাকিল আহমেদ ও ফেরদৌস হোসেন জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়ায় দাম কেজিতে ৬-৮ টাকা করে কমে গেছে। দেশি পেঁয়াজ মানভেদে কেজি প্রতি ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগেও তা ৩৬-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। দাম আরও কমে আসবে।

সাতক্ষীরার ভোমরা কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা নাগাদ নয়টি ভারতীয় ট্রাকে করে ২৪২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভোমরা বন্দরে ঢুকেছে। ভোমরার বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙা বন্দরে ২৫ ট্রাকেরও বেশি পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতি ট্রাকে ২৫ থেকে ৩০ টন পেঁয়াজ আছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আরাফাত হোসেন বলেন, সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে বন্দরে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ধারা চলতে থাকলে দেশে পেঁয়াজের বাজারে দামের ঊর্ধ্বমুখী আচরণ হ্রাস পাবে।

গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে দেশের বাজারে পণ্যটির দাম বেড়ে যায়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানিকারকরা মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক ও চীন থেকে বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করেন। এরপর কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে পেঁয়াজের মূল্য।

আমারসংবাদ/জেআই