নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১, ০৫:৫০ এএম
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের জানাজা বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে দাফনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইব্রাহিম খালেদের ছেলে সাঈদ আহমেদ। তিনি বলেন, বাবার মৃতদেহ বেলা ১১টায় প্রথমে রাজধানীর সেগুনবাগিচা কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলায় নেওয়া হবে। সেখান থেকে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে ইব্রাহিম খালেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। গত রোববার থেকে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। গতরাত্রে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়। আজ ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য জানিয়েছিলেন, গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। রোববার বিকেল থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
ইব্রাহিম খালেদ জানুয়ারির শেষ দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি ওই সময় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নেন। সেখানে চিকিৎসার পর করোনা নেগেটিভ হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ দীর্ঘ ছয় দশক ধরে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্যাংকিং ও অর্থনীতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে ২০০৯ সালে ‘খান বাহাদুর আহছানউল্লা স্বর্ণপদক’ ও ২০১৩ সালে ‘খান বাহাদুর নওয়াব আলী চৌধুরী’ জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ২০০০ সাল থেকে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার পরিচালক, নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যের দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি ১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
আমারসংবাদ/জেডআই