Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

লকডাউনে এটিএম বুথ থেকে তোলা যাবে কত টাকা? 

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১৩, ২০২১, ০৪:৪০ এএম


লকডাউনে এটিএম বুথ থেকে তোলা যাবে কত টাকা? 

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে 'কঠোর লকডাউন' ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।

লকডাউনের সময়কালে গণপরিবহন, সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি অফিসের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে এ সময় ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে কার্ড দিয়ে এককালীন এক লাখ টাকা তোলা যাবে। গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১২ এপ্রিল) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার কোম্পানি ও সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এছাড়া মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

গতবছরের শেষে এবং এবছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যেতে থাকলেও মার্চ থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এরপর গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন বা বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু রেখে এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১১ এপ্রিল রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর তা ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

কিন্তু বিধি-নিষেধ শুরু হলে গণপরিবহনের অভাবে যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে বিক্ষোভের মুখে ৭ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে গণপরিবহন চালু রাখার অনুমতি দেয়। তবে শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় তাদেরও আন্দোলনের মধ্যে ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে ৮ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা যাওয়ায় ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ২৬ মার্চ থেকে কঠোর লকডাউন বা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার মধ্যে আবারও বেড়ে যায় করোনা সংক্রমণ। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে।

আমারসংবাদ/এমএস