Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

অর্থনীতিতে বাংলাদেশের সহায়তা লাগতে পারে পাকিস্তানের

আমার সংবাদ ডেস্ক

মে ২৬, ২০২১, ০৩:৫০ এএম


অর্থনীতিতে বাংলাদেশের সহায়তা লাগতে পারে পাকিস্তানের

অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করতে হলে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছ থেকে সহায়তা নিতে হতে পারে বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক উপদেষ্টা আবিদ হাসান। সম্প্রতি পাকিস্তানের দ্য নিউজ ডটকমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

আবিদ হাসান মনে করেন, বাংলাদেশের কাছ থেকে সহায়তা নেয়ার মতো পরিস্থিতি পাকিস্তান এড়াতে চাইলে যা করতে হবে তা হলো, বাংলাদেশের পথ অনুসরণ করা। সফলতার পথ বন্ধুর। দরকার রাজস্ব ও মুদ্রানীতিতে প্রজ্ঞার পরিচয় দেওয়া।

তার মতে, বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২০২০ সালে পাকিস্তানের দ্বিগুণ হবে- এ কথা এক সময় রীতিমতো অচিন্তনীয় ছিল। এখন যে গতিতে অর্থনীতি এগোচ্ছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ। সে তুলনায় পাকিস্তানের অবস্থা তথৈবচ। তারা এর মধ্যে ভালো করতে না পারলে এমনও হতে পারে যে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের কাছে সহায়তা চাইতে হতে পারে তাদের।

এই অর্থনীতিবিদ বলছেন, পাকিস্তানের দুর্দশার কারণ দেশটি নিজেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, নেতারা এই ভুল স্বীকার করতে চান না। বরং তারা শত্রুদেশ এবং বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন। সন্দেহ নেই, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ পাকিস্তানের জন্য যেসব নীতি প্রণয়ন করে, তার মধ্যে অনেকগুলোই খুব বাজে চিন্তার ফসল। তারা সব সমস্যার জন্য এক সমাধান খুঁজে থাকে—সর্বরোগের মহৌষধ খোঁজার মতো ব্যাপার।

আবিদ হাসান মনে করেন, পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভুল নীতির কারণে—দায়িত্বজ্ঞানহীন, অযথাযথ ও আগপিছ না ভেবে প্রণীত নীতির কারণে। সবচেয়ে বাজে দুটি কাজ হলো, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উৎস থেকে পাওয়া ঋণ নিয়ে অতিরিক্ত ব্যয় এবং রপ্তানির তুলনায় অনেক বেশি আমদানি।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে মিল অনেক উল্লেখ করে আবিদ হাসান তার নিবন্ধে লিখেছেন, ধর্ম, নৈতিক অবনমন, বিশৃঙ্খল রাজনীতি, সুশাসনের অভাব, নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়া—এসব দিক থেকে দুই দেশের অনেক মিল। কিন্তু মাত্র দুই দশকে বাংলাদেশ সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। গত ২০ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ৫০০ শতাংশ বেড়েছে।

আবিদ হাসানের মতে, প্রতিটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের নিজস্ব বয়ান আছে। তবে যারা ভালো করে, তাদের সবার মধ্যে একটি অভিন্ন ব্যাপার দেখা যায়। সেটা হলো, ওয়াশিংটন কনসেনসাস নীতি মেনে চলা। রাজস্ব ও মুদ্রানীতির গভীরতা, উদারীকরণ, রপ্তানিতে জোর দেওয়া, দারিদ্র্য বিমোচনমুখী নীতি, বাণিজ্যে সরকারের ভূমিকা হ্রাস ইত্যাদি। আরেকটি কৌতূহলোদ্দীপক দিক হলো, যেসব দেশ ভালো করেছে, সেই সব দেশই উচ্চ মাত্রার দুর্নীতি ছিল।