Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

মহামারিকালে এক বছরে দেশে ১৪ হাজার নতুন কোটিপতি

আমার সংবাদ ডেস্ক

অক্টোবর ১৩, ২০২১, ০৮:৫৫ এএম


মহামারিকালে এক বছরে দেশে ১৪ হাজার নতুন কোটিপতি

কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও গত এক বছরে দেশে প্রায় ১৩ হাজার ৮৮১ জন মানুষ কোটিপতির তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে একই সময়ের তুলনায় এটি ১৬% বেশি।

জুন শেষে দেশে কোটিপতি হিসাব ৯৯ হাজার ৯১৮ -এ উন্নীত হয়, যেখানে গত বছরের জুন শেষে কোটিপতি হিসাব ছিল ৮৬ হাজার ৩৭টি। এক বছরের ব্যবধানে কোটিপতি হিসাব বেড়েছে ১৩ হাজার ৮৮১টি। করোনাভাইরাস মহামারি দেখা দেওয়ার পরও গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশের ব্যাংক খাতে ১০ হাজার ৫১টি নতুন কোটিপতি ব্যাংক হিসাব যোগ হয়। কোটিপতি হিসাবগুলোতে আমানত যোগ হয় ৬৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোতে ১২ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। এই হিসাবগুলোর ০.০৮% হিসাব কোটিপতিদের। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংক খাতে ৫ হাজার ৬৪৬টি কোটিপতি হিসাব যোগ হয়েছে, যেখানে বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোটিপতি হিসাব বেড়েছিল ৩৮২টি। এছাড়া জানুয়ারিতে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাব ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। মার্চ শেষে কোটিপতি হিসাব বেড়ে ৯৪ হাজার ২৭২-এ উন্নীত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, এ বছরের জুন শেষে ব্যাংকগুলোতে ১ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা থাকা হিসাব ছিল ৭৮,৬৯৪টি। পাঁচ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানত থাকা ব্যাংক হিসাব ছিল ১১ হাজার ১৩টি। ১০ কোটি টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা জমা থাকা ব্যাংক হিসাব ছিল ৩ হাজার ৫৯৯টি। ১৫ কোটি টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা জমা থাকা ব্যাংক হিসাব ছিল ১,৭৩২টি। ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানত জমা থাকা ব্যাংক হিসাব ছিল ১,১৮৫টি।

এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হুসাইন বলেন, কোটিপতিদের সংখ্যা বাড়ার খবর অবশ্যই ভালো। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে মধ্যবিত্তের ব্যাংকের আমানত, যারা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাও বেড়েছে কি না।

তিনি বলেন, এই বছরের শুরুতে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ অর্থনীতির জন্য ততটা ক্ষতি করতে পারেনি যেমনটি প্রথমটি করেছিল। আমি বিশ্বাস করি এপ্রিল-জুনের তথ্য তারই প্রতিফলন।

কোটিপতি বৃদ্ধির পেছনে কী কারণ রয়েছে এমন প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, মহামারি চলাকালীন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। কেউ কেউ অবৈধভাবে তাদের ব্যবসা চালানোর দায়ে কারাগারে রয়েছেন, কিন্তু তার ব্যাংক হিসাব এখনও চলছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৫ জন, যা ১৯৭৫ সালে ৪৭ জনে উন্নীত হয়েছিল।

আমারসংবাদ/জেআই