Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

চাকরি স্থায়ী হলেই ব্যাংকারদের বেতন ৩৯ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২০, ২০২২, ০৩:৩৫ পিএম


চাকরি স্থায়ী হলেই ব্যাংকারদের বেতন ৩৯ হাজার টাকা

বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শিক্ষানবিশকালে সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা হবে ২৮ হাজার টাকা। আর শিক্ষানবিশকাল শেষ হলে বেতন-ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা। একইসঙ্গে অদক্ষতার অজুহাতে কিংবা ব্যাংকের বেঁধে দেয়া লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলে কোনো ব্যাংকারকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়ে আগামী মার্চ থেকে তা কার্যকর করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আগামী ১ মার্চ থেকে বেসরকারি ব্যাংকে এন্ট্রি বা শুরুর পর্যায়ের একজন কর্মকর্তার চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর সর্বনিম্ন বেতন হবে ৩৯ হাজার টাকা। এর কম নির্ধারণ করা যাবে না। এমনকি কোনো কর্মকর্তাকে চাকরি স্থায়ীকরণ বা বার্ষিক বেতন বাড়ানোর জন্য আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য অর্জনের শর্ত দেওয়া যাবে না।

এছাড়া সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া শুধু লক্ষ্য অর্জন করতে না পারা বা অদক্ষতার অজুহাতে পদোন্নতি বঞ্চিত বা চাকরিচ্যুত করা যাবে না।

অন্যদিকে নিরাপত্তাকর্মী বা অফিস সহায়কের ন্যূনতম বেতন হবে ২৪ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে। আগামী মার্চ থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর করতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, অ্যাসিস্টেন্ট অফিসার, ট্রেইনি অ্যাসিস্টেন্ট অফিসার বা ট্রেইনি অ্যাসিস্টেন্ট ক্যাশ অফিসার বা সমপর্যায়ের যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তাদের ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলে বা শিক্ষানবিশকালে ন্যূনতম বেতন-ভাতা হবে ২৮ হাজার টাকা। শিক্ষানবিশকাল শেষে ন্যূনতম সর্বমোট বেতন-ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা। এছাড়া এসব পদে আগে থেকে থাকা কর্মকর্তাদেরও বেতন-ভাতা আনুপাতিক হারে বাড়াতে হবে। আর ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইওর সঙ্গে সর্বনিম্ন পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতার পার্থক্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একনিষ্ঠতা, নৈতিকতা, মনোবল ও কর্মস্পৃহা অটুট রাখতে তাদের যথাযথ বেতন-ভাতা দেওয়া আবশ্যক। তবে সম্প্রতি কিছু ব্যাংক এন্ট্রি লেভেলের কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা যথাযথভাবে নির্ধারণ না করে ইচ্ছামাফিক নির্ধারণ করছে। অথচ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অবদান রাখছেন। তারা যেন অধিকতর উজ্জীবিত হয়ে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখতে পারেন, সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া আবশ্যক। বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উজ্জীবিত রাখা এবং ভবিষ্যতে মেধাবী ব্যক্তিরা যাতে ব্যাংকিংকে আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে আগ্রহী হন, সে লক্ষ্যে এ নির্দেশনা মানতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে, শুধু নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারা বা অদক্ষতার অজুহাতে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত বা চাকরিচ্যুত করা যাবে না। অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না।

আমারসংবাদ/আরএইচ