Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

৩৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ২৮ জানুয়ারি

জানুয়ারি ১৩, ২০১৫, ০৬:৩০ এএম


৩৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ২৮ জানুয়ারি

   
আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ৩৪তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) মৌখিক পরীক্ষা।

সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) কার্যালয়ে সাধারণ ক্যাডারে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২৮ ও ২৯ জানুয়ারি দু’দিন ১০জন করে ২০জন পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে ১৫৪ পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। জেনারেল ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১ হাজার ২৫২ জনের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আইন নেছারউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীদের জন্য কমিশন থেকে ডাকযোগে কোন সাক্ষাত্কারপত্র প্রেরণ করা হবে না। কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) কর্তৃক স্বাক্ষরিত ৩৪তম বিসিএসের সাক্ষাত্কারপত্রটি কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) ডাউনলোড করা থাকবে। কমিশন কর্তৃক মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণার পর ৩৪তম বিসিএসের সাক্ষাতকারপত্রটি কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে প্রার্থী ডাইনলোড করে সংগ্রহ করবেন।

গত ১৮ ডিসেম্বর বিধিমালা অনুসরণ না করেই প্রথমদফা ৩৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছিল পিএসসি। প্রথমবারে ওই ফলাফলে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮২২জন। এর মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে ৫৯২২ জন, সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারে ২০৯৬ ও শুধু কারিগরি/ পেশাগত ক্যাডারে ১৭৮০ জন উত্তীর্ণ হয়। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর বিধি অনুসরণ করে নতুন ফলাফল প্রকাশ করে কমিশন। এতে নতুন করে ১৪৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়।

এছাড়াও প্রথম ফলাফলে সাধারণ ক্যাডারে উত্তীর্ণ ৯৫৩ জনকে কারিগরি/ পেশাগত উভয় ক্যাডারে উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হন। তবে এর আগে এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গ্রহণের শুরু থেকে এক ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে কমিশন। প্রথমবারের মতো প্রিলিমিনারিতে কোটাপদ্ধতি চালু করায় অনেক মেধাবী বঞ্চিত হন। এ নিয়ে সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১০ জুলাই ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি।

উল্লেখ্য, দুই হাজার ৫২টি পদে নিয়োগে ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে পিএসসি। ওই বছরের ২৪ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ লাখ ৯৬ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।