Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

যেকারণে আটকে গেছে শত শত শিক্ষকের উচ্চতর বেতন স্কেল

আমার সংবাদ ডেস্ক

নভেম্বর ২৩, ২০২০, ০৭:০০ এএম


যেকারণে আটকে গেছে শত শত শিক্ষকের উচ্চতর বেতন স্কেল

দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের কারণে শত শত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেলে (১১তম) বেতন পাওয়ার আবেদন আটকে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে কোনো নতুন নির্দেশনা এলে সে অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্প্রতি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকদের বেতন স্কেল আপগ্রেডেশন করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিস হয়ে ওই আবেদন চূড়ান্তভাবে মনোনয়নের জন্য পাঠানো হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের আঞ্চলিক অফিসে।

বরগুনার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত গোলাম রহমান সিকদারও ১১তম গ্রেডে বেতন পেতে আবেদন করেছিলেন। তার আবেদন উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিস ঘুরে বরিশাল আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে আটকে যায়। গোলাম রহমান সিকদার ২০০৮ সালে বেসরকারি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছরের বিএড কোর্স সম্পন্ন করার পর মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন শেষে দশম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।

জানা গেছে, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের কারণে দেশের ৯টি বিভাগে মাউশির আঞ্চলিক দপ্তরগুলোতে শত শত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উচ্চতর বেতন স্কেলের আবেদন আটকে দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ, যে সনদের কারণে তাদের উচ্চতর বেতন স্কেল দেওয়া হচ্ছে না, তা অনেকটা অস্পষ্ট। কারণ তারা একই সনদের মাধ্যমে বিএড স্কেলসহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ ব্যাপারে একাধিবার বিদ্যালয়গুলোতে পরিদর্শনও করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক এনামুল হক হাওলাদার বলেন, আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দারুল ইহসানের সব সনদ স্থগিত রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কোনো নতুন নির্দেশনা এলে সে অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৮ আগস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত সনদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং ওই সনদের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত-সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর গ্রহণ করবে।’

তবে পরদিন ২৯ আগস্ট আরেক প্রজ্ঞাপনে উপরোক্ত আদেশ বাতিল করা হয়। ফলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যলয়ের সনদের কারণে অনেক শিক্ষকের উচ্চতর বেতন স্কেলের আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি।

আমারসংবাদ/জেআই