Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ২১’র প্রত্যাশা

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

জানুয়ারি ৬, ২০২১, ০২:৪০ পিএম


শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ২১’র প্রত্যাশা

কালের পরিক্রমায় বিদায় নিয়েছে ২০২০ সাল, শুরু হয়েছে আরও একটি নতুন বছর। বিদায়ী বছরের হতাশা ও বঞ্চনাকে পেছনে ফেলে ভালো কিছু প্রাপ্তির স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বরণ করে নেবে নতুন বছরকে। আর নতুন বছরে কি প্রত্যাশা করছেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাই তুলে ধরেছেন দৈনিক আমার সংবাদ শাবিপ্রবি প্রতিনিধি তানভীর হাসান

 

২০২১ এ নিশ্চিত হোক স্বাস্থ্যসুরক্ষা, শিক্ষাব্যবস্থায় ফিরে আসুক নতুন উদ্যম

২০২০ কে বিদায়ের মধ্যে দিয়ে নতুন বছর ২০২১ এর আগমন ঘটেছে।এবারের বিদায়টা প্রতিবছরের তুলনায় অনেক ভিন্ন ছিল। ২০২০ এর শুরুটা অন্যান্য বছরের মতো শুরু হলেও শেষটা ছিল একেবারেই বিপরীত। মহামারী করোনা ভাইরাস থমকে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। বিদায়ী বছরের হতাশা,অপ্রাপ্তি ও বঞ্চনাকে পিছনে ফেলে ভালো কিছু প্রাপ্তির স্বপ্ন নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছি আমরা সবাই।

নতুন বছরে আমার অনেক গুলো প্রত্যাশা থাকবে- সঠিক করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠবে আমাদের এই পৃথিবী, সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে, কাউকে আর তার প্রিয়জনকে হারাতে হবে না, শিক্ষাব্যবস্থা আবার নতুন উদ্যমে আগের মতো শীঘ্রই শিক্ষাঙ্গনে শুরু হবে, নতুন বছরের প্রাপ্তির খাতা অনেক বড় হবে, সবাই সুস্থ থাকুক এই প্রত্যাশায় এগিয়ে যেতে চাই সামনের দিনগুলোতে। এই বছরটি হবে নতুনভাবে নিজেকে শুরু করার, নিজের ভুল সংশোধন করে এগিয়ে যাওয়ার!

মো. মেহেদী হাসান নিলয়
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

 


বিশের দুঃখ, নৈরাশ্য ও স্থবিরতা উড়ুক একুশের নীল গগনে

বিদায়ী বছরের দুঃখ-বেদনা, নৈরাশ্য, স্বজনহারা আর্তনাদ, স্থবিরতার, হতাশা ও বঞ্চনাকে পেছনে ফেলে ভাল কিছু প্রাপ্তির স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বরণ করে নিয়েছে নতুন বছরকে। কামনা করি, সব ধরনের স্থবিরতা কাটিয়ে নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ। দেশে ফিরে আসুক সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, স্বস্তি ও গতিময়তা। মহামারী করোনা ভাইরাস ২০২০ সালকে করেছে বিষময়, বিশ্বকে করেছে স্থবির। মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আমাদের সামগ্রিক জীবন আজ এলোমেলো হয়ে গেছে। সারা পৃথিবীর শিল্পায়নের চাকা প্রায় স্থবির হয়ে গেছে। শ্রমজীবীর জীবন হয়েছে দুঃসহ। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। নতুন বছরে সুখ-দুঃখ আর সব হারানোর ব্যথাকে ভুলে নতুন কিছুর আশা নিয়ে সামনে এগিয়ে চলি। কবিগুরু বলেছেন,
আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহ দহন লাগে,
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে

কেটে যাবে করোনার মেঘ, আকাশে উদিত হবে হাসিমাখা সূর্যের। বিলুপ্ত হবে করোনা, আবার সুস্থ হয়ে উঠবে পৃথিবী। বহু মৃত্যু, বহু ক্ষতি ও বহু দুঃস্বপ্নের স্মৃতি পেরিয়ে একদিন অবশ্যই কেটে যাবে ধূসর এই সামিয়ানা। এটাই নতুন বছরের কাছে আমার প্রত্যাশা।

মো. ফাউজুল আজীম 
বাংলা বিভাগ

 

সুপ্ত প্রতিভাগুলো জীবনের কাজে লাগুক

গতবছর লকডাউন থেকে আমরা সবাই অনেকেই ভিন্নধর্মী কাজ করছি, প্রায় একবছর বাসায় থেকে আমরা নিজেরা এমন কিছু কাজ করে সময় কাটিয়েছি যা হয়ত আমরা পারবো এটা জানতামও না বা সময়ের অভাবে সেটা নিয়ে কাজ করা হয় নাই। কেউ ছবি একেঁছে, কেউ গান অথবা নাচ শিখেছে, কেউবা হাতের কাজ করছে। আমরা আমাদের এই সুপ্ত প্রতিভা গুলোকে এই লকডাউনে খুজেঁ পেয়েছি। আমি চাই সামনের বছর বা সামনের দিনগুলা সবাই যেন নিজেদের এসকল প্রতিভার উপর কাজ করি এবং জীবনে কাজে লাগাই।

গত বছরে আমি অন্তত এটা বুঝতে পেরেছি, পরিষ্কার থাকাটা আমাদের জন্য কতটা জরুরি এবং আমরা চেষ্টা করেছি যতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকা যায়। আমি চাই সবাই এই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুক। এতে করে সামনের দিনগুলোতেও আমরা নানা রকম অসুখ বা ভাইরাস থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারবো। এক কথায় বলতে গেলে গতবছরের সব শিক্ষাগুলোকে আমরা কাজে লাগিয়ে নিজেদের এবং অন্যের জন্য একটা সুন্দর ও হাসিখুশি জীবন গড়ে তুলতে চাই।

সারা এলিন গীতি
ফুড ইঞ্জিনিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগ

 


সব ধরনের অপরাধের যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হোক

নানান রকমের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে আগমন হয়েছে নতুন বছরের। ২০২০ এর যত বেদনা ছিল সেই সবকিছুকে পেছনে ফেলে সুন্দর একটি পৃথিবী পাওয়ার প্রত্যাশাতে স্বাগতম জানাই নতুন বছরকে। আশা করছি, দেশে ফিরে আসবে শান্তি ও সমৃদ্ধি। অর্থনীতি হবে গতিশীল। গতবছরে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মাসেতু। যেটি আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট এক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে। করোনা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে বিষিয়ে তুলেছিলো। জীবনযাত্রাকে করে দিয়েছিল অচল। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোও এর প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারেনি। করোনার মতো ভয়াবহ রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে করতে হবে আরো মজবুত, একই সাথে দুর্নীতিমুক্ত। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে তার মেয়েরা আজও নিরাপদ নয়। এর চেয়ে দুঃখের আর কি হতে পারে? আশা করছি, এই বছর ধর্ষণের মতো অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এক্ষেত্রে দাবী করছি আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ। শিক্ষা ব্যবস্থাকে করতে হবে আরো উন্নত, যেন বিশ্বের দরবারে আমাদের শিক্ষার কদর করা হয়। নতুন বছর আমাদের জীবনে নিয়ে আসুক স্বস্তি। সব ধরনের অপরাধের যথাযথ আইনী ব্যবস্থা হোক। বিতারিত হোক দুর্নীতি। ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক অপরাধের হোক অবসান। সোনার বাংলাদেশ বাস্তবিক অর্থেই সোনার হয়ে উঠুক।

বিবেক রায় 
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ

 


আমার সংবাদ/এমএ