Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

সন্ধান মিলেছে সেই চবি শিক্ষার্থীর

চবি প্রতিনিধি

জানুয়ারি ৮, ২০২১, ০৬:২৫ এএম


সন্ধান মিলেছে সেই চবি শিক্ষার্থীর

নিখোঁজের ৩ দিনের মাথায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এসএম আবরার লাবিবের সন্ধান পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে সেই মা ও শিশু হাসপাতালের পাশেই তাকে পরিবর্তিত পোশাকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে লাবিবের চাচাতো ভাই এসএম ফাতরাশ বলেন, ‘লাবিবের কথা অনুযায়ী জানতে পেরেছি, তাকে প্রথমে সিলেট নিয়ে গেছে, তারপর ঢাকা হয়ে আবার এখানে এসেছে। এর বেশি সে কার সাথে গেছে, কিভাবে গেছে সে কিছু বলতে পারছে না। তবে নিখোঁজ হওয়ার সময় যে জামা-কাপড় পরেছিল এখন তার কিছুই নেই।’ 

তিনি আরো জানান, এসআই জসিম পরিচয়ে দুপুরে তাদের সাথে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করেন। কিছুক্ষণ পর তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পারেন ফোন করা একজন প্রতারক। তার দাবি, ফোন করা ব্যক্তির সাথে অপহরণকারীদের যোগসাজস থাকতে পারে। 

এর আগে দুপুর একটার দিকে লাবিবকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নরসিংদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে গুজব উঠে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই পরিচয়ে লাবিবকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া ও লাবিবের পরিবারকে কল দেন অজ্ঞাত এক প্রতারক।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘লাবিব উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। দুপুর ১ টার দিকে নিজেকে এসআই পরিচয় দিয়ে লাবিব উদ্ধারের খবর আমাকে জানায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। সাথে সাথে তাকে আমি তাকে লাবিবের পরিবারের ও ডবলমুরিং থানার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিই। 

পরে বিভিন্ন মাধমে জানতে পারি সে একজন প্রতারক।  প্রতারক আমাকে জানায়, এক জাতীয় পত্রিকার নিখোঁজ সংবাদের ছবি দেখে লাবিবকে সে শনাক্ত করে এবং সে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ করেন।’

এদিকে নগরীর ডবলমুরিং থানায় লাবিবের পরিবারের করা জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসএম মানিক বলেন, ‘উদ্ধার গুজবের প্রায় প্রায় ৯ ঘণ্টা পর লাবিবকে মা ও শিশু হাসপাতালের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। নরসিংদী থেকে এসআই জসিম পরিচয় দেয়া ব্যক্তিটি ভুয়া ছিল। সেখানে জসিম উদ্দিন নামে কোন এসআই নেই। আমরা তার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। নিখোঁজের বিষয়টিও তদন্তাধীন আছে।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন লাবিব। ওই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন লাবিবের বাবা। সেখানেই বাবার দেখাশোনা করতেন লাবিব। নিখোঁজের পরদিন ডবলমুরিং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে লাবিবের পরিবার।

আমারসংবাদ/এআই