Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

সংকট কাটছে না চবির আইইআরে, এবার পরীক্ষা স্থগিত

মিজানুর রহমান, চবি প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২১, ২০২১, ০২:৩০ পিএম


সংকট কাটছে না চবির আইইআরে, এবার পরীক্ষা স্থগিত

বুধবার বাংলা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর শুরু হওয়ার কথা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ১ম বর্ষের পরীক্ষা। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লাসে উপস্থিতি না থাকায় ১১ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়নি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) কতৃপক্ষ। আর তাতেই পরীক্ষা বাদ দিয়ে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একদিন পর প্রথম বর্ষের সকল পরিক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে ইনস্টিটিউট কতৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে আইইআর ইনস্টিটিউট পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কয়েকদফা আন্দোলনের পর শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় ঠুনকো অভিযোগে তাদের ১১ সহপাঠীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। শারীরিক ও পারিবারিক বাস্তব সমস্যার প্রেক্ষিতে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারে নাই তারা। এ সব সমস্যা নিয়ে তারা ধরণা দেয় প্রক্টর ও ইনস্টিটিউট পরিচালকের নিকট। ভবিষ্যতে এই ধরণের ভুল আর হবে না বলে মুচলেকাও প্রক্টর অফিসে। এত কিছুর পরও প্রশাসনের একঘুয়েমির কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না তারা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের কয়েকজন শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসনের টানাপোড়নে প্রায় একবছর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকে এই বিভাগে। ফলে ভর্তির প্রায় দুই বছর শেষে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তাদের। তাও অনেক আন্দোলন সংগ্রাম শেষে। এখন আবার তাদের পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ‘পরীক্ষার দাবিতে আমরা গত এক মাসেরও অধিক সময় ধরে আন্দোলন করে আসছি। কয়েক দফা আন্দোলনের পর ২০ জানুয়ারি আমাদের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। আমাদের কয়েকজন সহপাঠীকে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় আমরা আন্দোলন করেছি। উনারা চাইলে তাদের ফর্ম ফিলআপ পরে করে আপাতত পরীক্ষা নিতে পারতেন। কিন্তু খুব সম্ভবত আমাদের উপর রাগান্বিত হয়ে স্যারেরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আমাদের পরীক্ষা স্থগিত করে দেন। এখন আমরা পরিবারে কি জবাব দিব বুঝতে পারছি না।’

এ সব বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করা হয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহমদের সাথে। তিনি জানান, ‘করোনার কারণে প্রায় একবছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। প্রশাসনের অনুমতি পেয়েই আমরা পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কিছু নিয়মের কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয় নাই। তাই তারা ব্যাচের মিলে সবাই পরীক্ষা না দিয়ে আন্দোলন করছে। তাই আবার সকল পরীক্ষা স্থগিত করে রেখেছি। আমরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সাথে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আলাপ করেছি। সিদ্ধান্ত হলে জানতে পারবেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। ১১ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাদের ফরম ফিলআপের জন্য কিছুটা সময় লাগবে। এরপর পরীক্ষা শুরু হবে।’

আমারসংবাদ/কেএস