Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

কারাগারে লেখক মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে: নূর

ঢাবি প্রতিনিধি

মার্চ ১, ২০২১, ০১:৩৫ পিএম


কারাগারে লেখক মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে: নূর

কারাগারে লেখক মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, লেখক মুশতাককে হত্যা করা হয়ছে। 

কারাগারের মতো জায়গায় একজন লেখেককে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। আপনারা জানেন তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আমরা শুধু বলছি না। আন্তর্জাতিক ১৩টি প্রেস বলছে মুশতাক হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করতে হবে।

সোমবার (১ মার্চ) বিকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজুর ভাস্কর্যে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই দাবি করেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিন বলেন, টিএসসির মতো জায়গা বিনা ওয়ারেন্টে পুলিশ শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেখানে কোন ভুমিকা রাখেনা। যে ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য বলতে চা চমসা, সিঙ্গারার বুঝায় তার কাছে আর কি আসা করা যায়। আমি অনেক বার হামলার শিকার হয়েছি। ভিসি একবার আমাকে ফোন দিয়ে সান্ত্বনা পর্যন্ত দেননি। কারণ, তিনি সরকারের দলালী করার জন্য ভিসি হয়েছেন। সরকারে চাটুকারিতা, লেজুর ভিত্তিক কাজ করে তারা এই পর্যন্ত এসেছেন।

তিনি আরো বলেন, যেকোনো সংকটে সারা দেশের মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। এক সময় এমপি-মন্ত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে পায়ের ধূলো নিতে। আর এখন শিক্ষককেরা পদের জন্য এমপি-মন্ত্রীদের কাছে ধন্না দেয়। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। দলীয়করণ করতে করতে রাষ্ট্রের সকল কাঠামোকে আজকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। জোর-জুলুম করে এই অবৈধ সরকার আর বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। পুলিশ তো আমাদের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত রয়েছে। কিন্তু এখন আমরা কি দেখছি। কুখ্যাত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এখনো দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড ওয়ার্কশপ বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবে। তার পদোন্নতি হচ্ছে। হারুনের মতো পুলিশকে সরকার নিজের প্রয়োজনে টিকিয়ে রেখেছে।

আহ্ববায়ক রাশেদ খান বলেন, কারাগারে আটক অবস্থায় একজন লেখক মৃত্যুবরণ করেছেন। এটি শুধু সাংবাদিক, লেখক, সরকারের জন্য লজ্জার নয় । পুরো বাংলাদেশের জন্য লজ্জার। এই সরকার বাংলাদেশের মানুষের জন্য কালো আইন তৈরি করেছে। আমার সাংবাদিক ভাইরেরা আজ কথা বলতে পারে না।  

সাংবাদিক, লেখকের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা আজ প্রতিবাদ করলে তাদের চাকরি কেড়ে নেয়া হয়। তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে আতঙ্কিত করা হয়। তারা শিক্ষার্থীদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায়। তারা মুখের ভাষা নিয়ে ক্লান্ত হয়নি তারা আমাদের হত্যা করতে চায়। 

সরকার আইসিটি আইন নামে কালো আইনের মাধ্যমে মানুষের মুখের ভাষা বন্ধ করে দিয়েছে। এই কালো আইন দুত বাতিল করতে হবে। মুশতাক হত্যার বিচার করতে হবে। যাদের কে আটক করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে। নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের হাতে দমন-পীড়ন করে যারা দেশ দেশেন শুত্রু তারা, আমার কথা বলার রুচি তুমি ঠিক করে দেয়ার কে?,  বিতর্কিত ডিজিটাল আইন বাতিল কর, কারাগারে লেখক মুশতাক মরলো কেন?,  মুস্তাককে খুন করেছে কে?,  we want freedom of speeck, ফিরিয়ে দাও আমার গণতন্ত্র ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ন আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন, ঢাবির যুগ্ম সাধানণ সম্পাদক শাকিল মিয়া, সদস্য আকরাম হোসেন প্রমুখ।

আমারসংবাদ/এআই