Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

করোনা বিপর্যয়: এক সেমিস্টারেই ৫২২ দিন 

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি 

মার্চ ৫, ২০২১, ০২:০৫ পিএম


করোনা বিপর্যয়: এক সেমিস্টারেই ৫২২ দিন 

করোনার এই মহামারিতে থেমে গিয়েছিল পৃথিবী। বর্তমানে মোটামুটি সব কিছু স্বাভাবিক চললেও বন্ধ হয়ে আছে স্কুল-কলেজসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা বা বন্ধ রাখা নিয়ে আছে নানান বিতর্ক। কেউবা স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন আবার কেউবা করোনাকে দূর্বল মনে করে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে জট এড়াতে খুলে দেয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন। জাবি, ঢাবি, চবি, রাবি, ইবি, শাবিপ্রবিসহ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনও করেছিলেন হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার জন্য। 

এদিকে অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই দিনাজপুরের হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা পড়ছেন বড়সড় জটের কবলে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের বাসায় নিয়মিত পড়া হচ্ছে না। অনলাইন ক্লাস নামমাত্র ক্লাস মাত্র। কেননা, শহুরে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত ডাটা স্পিড পেলেও গ্রাম্য শিক্ষার্থীরা অনেক সময় অনলাইন ক্লাসে ঢুকতেই পারেন না। আবার উচ্চমূল্যের ডাটা কেনার ক্ষেত্রে আর্থসামাজিক বৈষম্য হচ্ছে দেখার মতো। কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের জন্য লেগেছে ৫২২ দিন। প্রায় প্রতিটি বিভাগের একই দুর্দশা। 

এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী রাগিবুল হাসান সিফাত বলেন, করোনার জট প্রাকৃতিক কারণে জট। তবে আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষ প্রশাসনের রোডম্যাপের মাধ্যমে কিছুটা হলেও এই জটের জটিলতা কাটিয়ে তোলা সম্ভব হবে। 

করোনা বিপর্যয়ে সৃষ্ট জটে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বরাবরের মতোই হতাশ শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পক্ষে মত দিচ্ছেন। 

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইমরান হোসাইন বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কাছে একটিই চাওয়া যাতে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ভ্যাক্সিনাইজড করা হয়। শিক্ষার্থীদেরকে দ্রুত ভ্যাক্সিনের আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় না খুলে দিলে দীর্ঘ জটের কারণে চাকরির বাজারে দেখা যেতে পারে বিশাল বিশৃঙ্খলা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ করতে না পারায় কিছুটা হলেও পিছিয়ে আছে এবং তুলনামূলক বেশি জটের কবলে পড়ছে।

এদিকে সেশনজট নিয়ে শিক্ষার্থীরা হতাশায় থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন ভিসি বলছেন ভিন্ন কথা। রুটিন ভিসি প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার শিক্ষার্থীদের হতাশ না হবার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমরা ক্যাম্পাস খুললে সেশনজট নিরসনে 'একাডেমিক রোডম্যাপ ২০২১'  তৈরী করবো। ছয় মাসের সেমিস্টার প্রয়োজনে ৩-৪ মাসে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হবে অনুষদীয় ডিন এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণী প্রতিনিধিসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং অনুষদীয় ডিনদের সমন্বয় কিভাবে সেশনজট নিরসন করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের হতাশ হবার কিছু নেই।

আমারসংবাদ/কেএস