Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

যৌন-প্রজনন শিক্ষা ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ৬, ২০২১, ০১:০৫ পিএম


যৌন-প্রজনন শিক্ষা ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শনিবার (৬ মার্চ) বলেছেন, একযোগে দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌনপ্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা চালু করা হবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জেনারেশন ব্রেক থ্রু প্রকল্প’ সীমিত আকারে শুরু করা হয়েছিল। মাঝখানে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমার কাছে উপস্থাপিত হয়েছিল দুটো বিভাগে হবে। কিন্তু আমি বলেছি- দুটি বিভাগ একটি বিভাগের বিষয় নয়। এটি সারাদেশের সকল শিশুদের জন্য প্রযোজ্য। কাজেই অন্য কোনও কর্মসূচি আমরা পর্যায়ক্রমে বাড়াতে পারি কিন্তু এই কর্মসূচি যেহেতু সফল বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। এ পর্যন্ত যা মূল্যায়ন হয়েছে তাতে এ প্রকল্পটি কার্যকর। সে কারণে সারাদেশে আমরা একযোগে সারা দেশে শুরু করছি।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, জেনারেশন ব্রেক থ্রু প্রকল্পের মধ্যেই কিশোর-কিশোরী কর্নার আছে। বিভিন্ন ধরনের বই আছে। প্রশিক্ষক শিক্ষক দিয়ে পরিচালনা করা হয়। আমরা দেখেছি, এতে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীরা নিজেদের ম্যানেজ করা অন্যদের সঙ্গে প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষার বিষয়গুলো দক্ষতার সঙ্গে শেয়ার করে শিখে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, শিগগিরই দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৬৪ জেলায় একজন করে কাউন্সিলর নিয়োগ করা হবে।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। মাঝখানে করোনার কারণে পিছিয়ে পড়েছি। এখন আমরা ৬৪টি জেলায় একজন করে কাউন্সিলর বা মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ দেওয়ার কাজটি শুরু করেছি। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত দুজন শিক্ষককে কাউন্সেলিং বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারে। আমরা আশা করছি শিগগিরই দুই লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো। যাতে এসব ক্ষেত্রে যেকোনও সমস্যার সমাধান করতে পারেন শিক্ষকরা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ শরীফ (এমসিএইচ)। ‘কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থা’ বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন নারীপক্ষের সদস্য ও নারীর স্বাস্থ্য এবং প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রকল্প পরিচালক সামিয়া আফরিন। এ বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির ফেলো অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের ড. সাবিনা ফাইজ এবং পিপিআরসি’র কথা রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটের পরিচালক উমামা জিল্লুর। সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান শাহীন আনাম।

আমারসংবাদ/জেআই