Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১ম ও সহকারি শিক্ষকদের ২য় শ্রেণীর মর্যাদা দাবি

শিক্ষা ডেস্ক

মার্চ ৬, ২০২১, ০২:৪০ পিএম


প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১ম ও সহকারি শিক্ষকদের ২য় শ্রেণীর মর্যাদা দাবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১ম ও সহকারি শিক্ষকদের ২য় শ্রেণীর মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।

শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকার তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে সমিতির নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সভায় এ দাবি জানানো হয়।

সভায় ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানানো হয়।

শিক্ষকদের দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. প্রধান শিক্ষকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদায় ৮ম গ্রেড ও সহকারি শিক্ষকদের ২য় শ্রেণির মর্যাদায় ১০ম গ্রেড প্রদান করে তাদেরকে সেল্ফ ড্রয়িং ও আয়ন-বায়ন ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।

২. বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের ০৯/০৩/২০১৪ থেকে ১৪/১২/২০১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রাপ্য টাইম স্কেল এবং সরকার ঘোষিত সন্তোষজনক চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান নিশ্চিত করা।

৩. পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড সমতা করে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের সাথে বেতন বৈষম্য দূরীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৪. সকল শিক্ষকের টিফিন ভাতা প্রতিমাসে ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা ও স্কুল কন্টিজেন্সি প্রতি ৬ মাসে ১২ হাজার টাকা করে বছরে ২৪ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে।

৫. সরকার ঘোষিত সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে আইবাস প্লাস প্লাস আপগ্রেড দ্রুত বাস্তবায়ন ও চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৬. সহকারী শিক্ষককে এন্ট্রি পদ ধরে পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রাথমিক শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ৩ বছর পরপর প্রাপ্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সহকারি শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির বিষয়ে জটিলতা দ্রুত নিরসন করতে হবে।

৭. চাকরি ক্ষেত্রে সিনিয়র ও জুনিয়র বেতন বৈষম্য সমতাকরণ করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে গ্রেডেশন তালিকায় কোন প্রকার বৈষম্য রাখা যাবে না।

৮. প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক পদ সৃষ্টি করতে হবে।

৯. জাতীয় শিক্ষানীতি- ২০১০ অনুযায়ী প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করতে হবে।

১০. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য দ্রুত ব্যাংক-হাসপাতাল এবং পূর্বের ন্যায় ন্যায্য মূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

১১. প্রাথমিক স্তরের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিন্ন কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও অভিন্ন সময়সূচি চালু করতে হবে।

১২. প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরী কাম প্রহরীদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে।

আমারসংবাদ/জেআই