Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

শেকৃবিতে অনিশ্চয়তায় চলতি মৌসুমের গবেষণা

শেকৃবি প্রতিনিধি

মার্চ ১৭, ২০২১, ১০:৫৫ এএম


শেকৃবিতে অনিশ্চয়তায় চলতি মৌসুমের গবেষণা

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হল বন্ধ থাকায় আবাসন সংকটে বাড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের। এতে চলতি মৌসুমের গবেষণা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে যথাযথ তদারকি না করায় চলমান গবেষণা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।  

খামার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের খরিপ-১ মৌসুমে মাঠে ১৩৩টি গবেষণা শুরু হলেও করোনার প্রকোপে অধিকাংশ আলোর মুখ দেখেনি। খরিপ-২ তে মাঠে নতুন কোন গবেষণা হয়নি। চলতি বছরে খরিপ-১ মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে প্লটের জন্য ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক আবেদন জমা পড়েছে। 

স্নাতকোত্তরের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, রবি মৌসুমে গবেষণা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে হলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। গবেষণা শুরু হলেও গত ২২ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ হল ত্যাগের নোটিশে রবি মৌসুমের শেষ সময়ে এসে বিপাকে পড়েন তারা। গবেষণা শেষ করতে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বাসা ভাড়া নিলেও বাড়িতে আছেন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা। 

এদিকে খরিপ -১ এ মাঠে গবেষণা প্লটের জন্য আবেদন করেছিলেন অনেকে। হল বন্ধ হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের গবেষণা। এ অবস্থায় যথাযথভাবে গবেষণা করতে হলে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হবে, যা সবার পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। 

গবেষণারত স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক আশা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলাম। হল বন্ধ হওয়ায় বাইরে থেকে ঠিকমতো যত্ন নিতে পারিনি। আমার ফসল ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গেছে। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, প্রতিদিন সকাল ৬ টায় প্লটে যেতে হয়। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে একজন মেয়ের জন্য এতো সকালে যাওয়া রিস্ক। সঠিক সময়ে যত্ন না নিলে গবেষণার ফলাফল ভিন্ন আসবে। এ মৌসুমে গবেষণা করতে না পারলে আরো ছয় মাস পিছিয়ে পড়তে হবে।

এ বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডীন ড. অলক কুমার পাল বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি ছাত্রদের হেল্প করার জন্য। যাতে তাদের কাজ শেষ করতে পারে। যারা বাড়িতে আছে, তারা আমাকে ফোনে বলুক, গাইড স্যারকে বলুক, আমি ব্যবস্থা করে দিব। 

আমারসংবাদ/কেএস