Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বেরোবিতে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশীপ’ বৃত্তি প্রদানেও অনিয়মের অভিযোগ

বেরোবি প্রতিনিধি

মার্চ ২০, ২০২১, ০৯:৫০ এএম


বেরোবিতে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশীপ’ বৃত্তি প্রদানেও অনিয়মের অভিযোগ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূতভাবে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশীপ’ বৃত্তি প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পিএইচডি গবেষক খন্দকার মো: রফিক হাছনাইন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত একটি পত্র সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। 

খন্দকার মো: রফিক হাছনাইন লিখিত অভিযোগে বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আওতাধীন ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশীপ’ নামে বৃত্তি প্রদানের সার্কুলার হলেও করোনাকালীন সময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিন ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এ্যান্ড ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই কিংবা স্থানীয় বা জাতীয় কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জন্য ব্যবহৃত ‘হোয়াটস অ্যাপ’ কোনো ঘোষণা না দিয়ে নাম মাত্র ওয়েব সাইটে শুধু নীতিমালা প্রকাশ করা হলেও দরখাস্ত করার শেষ তারিখ উল্লেখ না করেই যোগসাজসভাবে অবৈধ চক্র তৈরী পূর্বক বিধি বহির্ভূতভাবে নিজের ঘনিষ্ট ও উৎকোচ প্রদানকারীদের মাঝে বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন, ইউজিসির বিধিমালা মোতাবেক কোন খন্ডকালীন গবেষকদের বৃত্তি পাবার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এটা অগ্রাহ্য করায় আর্থিক অনিয়ম সাধিত হয়েছে। ভিসি ও রেজিস্ট্রার বেআইনিভাবে কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে গোপনে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে বলে প্রমাণ হয়। এক্ষেত্রে  সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগে ফৌজদারি  অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। যা তদন্ত করা আবশ্যক অন্যথায় দেশের আর্থিক ক্ষতিসহ ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশীপ’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে।

এ ব্যাপারে পিএইচডি গবেষক খন্দকার মো: হাছনাইন বলেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য যে বৃত্তি দেয়া হয় ইউজিসির আইন ও বঙ্গবন্ধু স্কোলারশীপের বিধি বিধান অনুযায়ী শুধু মাত্র নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়। কোন খন্ডকালীন গবেষকদের কখনো বৃত্তি প্রাপ্ত হবার সুযোগ নেই। আমাদের এখানে  (বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়) এটা অন্যায় করা হয়েছে, স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে অথবা সরকারের টাকা আত্মসাৎ করবার জন্য এটা করা হয়েছে। আমি এই দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছি। 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি। 

আমারসংবাদ/কেএস