ঢাকা
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,
শিক্ষা ডেস্ক
মার্চ ২০, ২০২১, ১০:৩৫ এএম
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার চাকরি প্রত্যাশীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এ রিট দায়ের করেন।
তিনি জানান, ২১ মার্চ থেকে হাইকোর্টের ভ্যাকেশন শুরু হচ্ছে। ভ্যাকেশনের পর বিচারপতি মো: মুজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করবেন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক কর্তৃক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি)-এর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ হাজারের অধিক সহকারী শিক্ষক নেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর উদ্দেশ্যমূলকভাবে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং পুরুষ প্রার্থীর জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ২২ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। অথচ অনগ্রসর কিংবা প্রতিবন্ধীদের সম্বন্ধে কোনো কোটার উল্লেখ নেই। এভাবে কোটা বণ্টন করা অনৈতিক হয়েছে বলেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, উক্ত কোটা বণ্টনের ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেণীর তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী ছেলেসন্তানদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। যা তাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। তাই এসব প্রজ্ঞাপনের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে।
রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
আমারসংবাদ/জেআই
