হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
মে ৭, ২০২১, ১২:০৫ পিএম
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) দীর্ঘদিন থেকেই হল থেকে রূপান্তরিত একাডেমিক ভবনে ক্লাস করেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এক সময়ের শহীদ জিহাদ হলের রুমগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে প্রস্তুত করা হয় একাডেমিক ভবন-২ যা হাবিপ্রবির ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে।
ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ভবন জরাজীর্ণ এবং অবকাঠামোগত দিকে থেকে একাডেমিক ভবনের যোগ্য না হওয়ার পরও এই একাডেমিক ভবনের সবথেকে বড় সমস্যা হলো ক্লাসরুম সংকট। তীব্র ক্লাসরুম সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন এই অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে অনুষদটির যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, প্রথমত হল ভেঙে যেহেতু ক্লাস রুম করা হয়েছে সেক্ষেত্রে ক্লাসরুমে আলো বাতাসের যে ব্যবস্থা থাকার সেটাতো নেই। অন্যান্য একাডেমিক ভবনের তুলনায় এখানকার ক্লাসরুমগুলোর একটা গুমট পরিবেশ থাকে সব সময়।
আর দশ তলায় বলা হয়েছিল যে মেকানিক্যালল এবং সিভিল অগ্রাধিকার পাবে বলে শুনেছি। নতুন দশতলা ভবনের ক্ষেত্রে ক্লাসরুম সংকটে থাকা ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের দিকে দৃষ্টিপাত করলে বিশ্ববিদ্যালয় সমৃদ্ধ হবে।
অনুষদের ফুড এন্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিংয় বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী পিয়াল দেব বলেন, বর্তমান একাডেমিক ভবনে একদিকে যেমন ক্লাশরুমের তীব্র সংকট, অনদিকে একাডেমিক ভবনের ক্লাশরুম ও ল্যাবগুলোতে উপযুক্ত পরিবেশ নেই৷ এমনকি ক্লাসরুমগুলোতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। দ্রুত সংকট নিরসনে কাজ করা হোক এই দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন সরকার বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ক্লাসরুম সংকট প্রকট। ক্লাসরুম সংকট নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজ বলেন, নির্মাণাধীন দশতলা ভবনে ক্লাশ রুম বরাদ্দ দেবার ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদকে প্রাধান্য দেয়া হবে। তখন ক্লাসরুম বা ল্যাব সংকটের কোনটিই আশা করি থাকবে না৷
এ বিষয়ে রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, হলরুমের দেয়াল ভেঙে ভেঙে ক্লাসরুম এবং অন্যান্য রুম তৈরী করায় অবকাঠামোগত দিক থেকে সময়ের বিবেচনায় ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ভবনটি একাডেমিক ভবন হওয়ার মতো নয়। নতুন দশতলা একাডেমিক ভবন হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ক্লাসরুম কিংবা ল্যাবরুমের সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। শীঘ্রই নতুন বাজেট আসবে এবং নতুন নতুন একাডেমিক ভবন তৈরী করা হবে নিকট ভবিষ্যতে। তখন কোনো অনুষদের ক্লাসরুম সংকট থাকবে না আশা করি।
আমারসংবাদ/কেএস