Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

ইউজিসি বঙ্গবন্ধু ফেলো হিসেবে প্রফেসর আফজাল হোসেনের যোগদান

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি 

আগস্ট ২, ২০২১, ০৮:১৫ এএম


ইউজিসি বঙ্গবন্ধু ফেলো হিসেবে প্রফেসর আফজাল হোসেনের যোগদান

‘ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলোশিপ-২০২১’ এর ফেলো হিসেবে যোগদান করেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কৃষিবিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এম. আফজাল হোসেন।

শিক্ষা, গবেষণা, প্রকাশনা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কর্ম অভিজ্ঞতা, গবেষণা কাজের সংশ্লিষ্টতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং ফেলোশিপ নীতিমালার উদ্দেশ্যাবলির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আগামী এক বছরের জন্য ‘ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলোশিপ-২০২১’ এর জন্য ফেলো হিসেবে তাকে এই নিয়োগ প্রদান করেন। তিনি নিয়োগপত্রে উল্লেখিত শর্তাধীনে ১ আগস্ট, ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান এর নিকট যোগদানপত্র দাখিল করেন। 

দেশের উচ্চ শিক্ষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনবদ্য অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রবর্তিত ইউজিসি বঙ্গবন্ধু ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পুষ্টিবিদ ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ভারপ্রাপ্ত) ও পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. আফজাল হোসেন। 

প্রফেসর ড.এম.আফজাল হোসেন ‘এক্সপ্লোরিং দ্যা পটেনশিয়াল অব সিউইডস ফর প্রমোটিং দ্যা ব্লু ইকোনোমি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে তিনি ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো নির্বাচিত হয়েছেন। 

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মঞ্জুরী কমিশন এর চেয়ারম্যান ও ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলোশিপ মনোনয়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ'র জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই মায়ানমার ও ভারতের সাথে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে। অপার সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত ব্লু ইকোনোমির সুবিধা পেতে ব্যাপক গবেষণা করা প্রয়োজন। ব্লু ইকোনোমির অপার সম্ভাবনা সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশে বেকারত্ব দূর হবে, অর্থনীতি গতিশীল হবে এবং ২০৪১ এর মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নত দেশ বিনির্মাণ সহজ হবে। প্রফেসর ড. আফজাল হোসেন এর গবেষণা পত্রটি সুনীল অর্থনীতির একটি অপার সম্ভাবনাময় দিক সম্পর্কে নতুন ধারণা দিতে সক্ষম হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

প্রফেসর ড. এম. আফজাল হোসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রফেসর। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) ও  দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও টিএমএসএস-এর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  

ড. আফজাল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ থেকে প্রথম শ্রেণীতে ১৯৭৪ সনে স্নাতক ও ১৯৭৬ সনে প্রাণ রসায়ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ১৯৮৪ সনে ভারতের হরিয়ানার জাতীয় ডেয়রি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ইউএস-এইড ফেলোশিপের আওতায় ১৯৮৭ সনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য বিজ্ঞান ও পুষ্টি বিভাগে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেন। 

তাছাড়া ইইসি পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপের অধীনে তিনি ১৯৯১ সনে বেলজিয়ামের ব্রাসেল্স্-এর "ইনস্টিটিউট অব সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার প্যাথলজি"-তে এক বছর গবেষণা করেন। তিনি কৃষি বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ হিসেবে দেশী বিদেশী সাহায্যপুষ্ট উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণা প্রকল্পের প্রধান হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পঞ্চাশটির অধিক সেমিনার ও পলিসি ফোরামে অংশগ্রহণ করে খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক প্রাণরসায়ন চর্চার ব্যাপক প্রসারে মূল্যবান অবদান রাখেন। এর সমান্তরালে তিনি এদেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় যুগ-চাহিদার সঠিক প্রতিফলন ঘটিয়ে বৈশ্বিকমানে উন্নীত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিবন্ধ, রিপোর্ট, বই-পত্র প্রকাশিত হয়েছে। 

প্রফেসর আফজাল হোসেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মাজবাড়ি গ্রামের ছবদের রহমান ও জামিলা খাতুনের পুত্র। ব্যক্তিজীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যার পিতা। তার স্ত্রী বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত, পুত্র ইলেক্ট্রনিক ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার এবং কন্যা ডাক্তার হিসেবে গবেষণায় কর্মরত।

আমারসংবাদ/কেএস