Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

আটকে আছে ৩৮ হাজার নিয়োগ, শূন্য হচ্ছে লক্ষাধিক পদ

শিক্ষা ডেস্ক

অক্টোবর ১১, ২০২১, ১০:২৫ এএম


আটকে আছে ৩৮ হাজার নিয়োগ, শূন্য হচ্ছে লক্ষাধিক পদ

২০১৮ সালের শেষের দিকে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের সার্কুলার প্রকাশের পর পরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই শেষে ৩৮ হাজার ২৬৮ জন শিক্ষক প্রার্থীকে সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে এখন পুলিশ ভেরিফিকেশনে আটকে আছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া।

১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের সার্কুলার প্রকাশ পায় ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বরে। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল নেওয়া হয় প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০১৯ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ পায় ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ৩০ মার্চ ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং ১৫ জুলাই শূন্যপদের বিপরীতে প্রাথমিকভাবে ৩৮ হাজার ২৬৮ জন শিক্ষক প্রার্থীকে সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। 

পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হলে চূড়ান্ত যোগদান পত্র দেওয়া হবে। এসব শিক্ষক চূড়ান্ত যোগদানের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষকের নিয়োগের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য দুই দফা তাগিদপত্র দেওয়া হয়। তবে রোববার (১০ অক্টোবর) পর্যন্তও পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে উত্তীর্ণদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি।

তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য সনদ দিত এনটিআরসিএ। ২০১৫ সালে এই পদ্ধতির পরিবর্তন আনে সরকার। ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে মেধা তালিকা করা হয় উপজেলাভিত্তিক। শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়ার আগে পাশ হয় নতুন আইনও।

পরবর্তীতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি জারির আগে ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনে চাকরিবঞ্চিত ২ হাজার ২০০ জন হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলায় রায় তাদের পক্ষে গেলে ঐ শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু এনটিআরসিএ নিয়োগ না দিয়ে রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে। এসব কারণে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগে বিলম্ব হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়াও যারা ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ না পেয়ে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছেন তাদের সময় লাগছে চার বছরেরও বেশি।

অন্যদিকে তথ্যমতে, এনটিআরসিএ-এর ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও প্রাথমিক সুপারিশ হয়েছে মাত্র ৩৮ হাজার ২৬৮ জন প্রার্থীর। তাছাড়া, এবছরের জানুয়ারি থেকে সামনের নভেম্বর পর্যন্ত বর্তমান ও সম্ভাব্য মিলে লক্ষাধিক পদ শূন্য হবে।

এদিকে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার উপসচিব আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পাঠিয়েছি। পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে কবে নাগাদ এবং কীভাবে প্রার্থীদের তালিকা পাঠাবে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।

আমারসংবাদ/জেআই