Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

সড়ক যেন মরণফাঁদ

গবি প্রতিনিধি

অক্টোবর ২৩, ২০২১, ০৭:৪০ এএম


সড়ক যেন মরণফাঁদ

দেড় কিলোমিটারের ছোট্ট একটি সড়ক। তবে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দে রাস্তাটি ভরা। অথচ এই রাস্তায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। পাশাপাশি চলাচল করে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার সহ বিভিন্ন ভারী যানবাহন। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কটি বর্তমানে মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইশমাইল থেকে নলাম সড়কের চিত্র এটি। বিশেষ করে বাইশমাইল থেকে গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) ক্যাম্পাস পর্যন্ত সড়কের অবস্থা একেবারেই বেহাল। প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের অধিকাংশ জায়গায় রাস্তা ভাঙ্গা এবং বড় বড় গর্তে ভরা। বৃষ্টি হলেই এসব জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচলের সময় রিকশা ও ইজিবাইক উল্টে দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের চিত্র। বড় গর্তে রিকশা আটকে যাওয়া, ঠেলে অটোবাইক উঠানো সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জানান, দুদিন আগে ক্যাম্পাসে আসার সময় অটো উল্টো যায়। পায়ের উপরে গাড়ি পড়ে যাওয়ায় পা কেটে যায়। যার কারণে ক্যাম্পাসে যেতে পারছি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এই রাস্তায় মাঝপথে বিশাল গর্তে রিকশা আটকে যায়। রিকশা বা অটোতে যাওয়ার সময় অত্যধিক মাত্রার ঝাঁকুনি পোহাতে হয়। অনেক সময় গাড়ি থেকে যাত্রী পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

রিকশা ও অটো চালকরা জানান, নিয়মিত এই রাস্তায় গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি তেমনি গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রপাতিও দ্রুত নষ্ট হচ্ছে।

জানা যায়, এই সড়ক সংলগ্ন একটি বিশ্ববিদ্যালয়, গার্মেন্টস, কয়েকটি স্কুল-কলেজ এবং বেশ কিছু শিল্প-কারখানা রয়েছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও যানবাহনের চলাচলে সড়কটি ব্যস্ত থাকে।

তথ্যমতে, সর্বশেষ ২০১৭ সালের শেষের দিকে সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়। তবে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই পিচঢালা রাস্তার উল্লেখযোগ্য অংশ উঠে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, খারাপ মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই স্থায়ীত্ব কমে যাচ্ছে।

জনবহুল এই সড়কটি ধামসোনা ও পাথালিয়া ইউনিয়নের অন্তুর্ভুক্ত। ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম জানান, সিআরডিপি প্রকল্প থেকে রাস্তাটি টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় আছে। এজন্য এ রাস্তায় আমরা কাজ করতে পারছি না। মাসখানেক আগেই টেন্ডার হওয়ার কথা। আশা করছি দ্রুত হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, সড়কের যে অংশ বেশি খারাপ, সেটা পাথালিয়া ইউনিয়নের অংশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান বলেন, আমার ইউনিয়নে পড়লেও এটা সরাসরি থানার ইঞ্জিনিয়াররা দেখেন। আপনি তাদের সাথে কথা বলেন।

সার্বিক বিষয়ে সাভার উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মাকসুদুন নবী বলেন, ইতোমধ্যে সিআরডিপি প্রকল্পের আওতায় টেন্ডার হয়েছে। এই রাস্তাটা শিমুলিয়া পর্যন্ত যাবে। খুবই সুন্দর রাস্তা হবে। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে এই রাস্তার কাজ শুরু হবে।

আমারসংবাদ/কেএস