Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক 

অক্টোবর ২৪, ২০২১, ০১:১০ পিএম


প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে নির্দেশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২০১০ এবং ২০১২ সালের সহকারি শিক্ষদের বেতন বৈষম্যে দুর করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এ আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলমকে এ নির্দেশ বাস্তকবায়ন করতে বলা হয়েছে। 

সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন সহকারি শিক্ষকের দায়ের  দায়ের করলে রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানী নিয়ে আজ রোববার (২৪ অক্টোবর) বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এবং মাননীয় বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটকারীদের পক্ষে শুনানী করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া ও রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট বিপুল বাগমার।

রিটে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ ৫ জনকে বিবদী করা হয়েছে। 

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, ২০১০ সালে সরাসরি নিয়োপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ও ২০১২ সালের ৩০ জুনের আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের অপেক্ষাকৃত কম বেতন নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২০১০ এবং ২০১২ সালের সহকারী শিক্ষদের মধ্যে সৃষ্ট বেতন বৈষম্যে দূর করতে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য যে, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে ২০১০ সালে কর্মরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল হচ্ছে ১৩০৫০ টাকা ও ২০১২ সালের ৩০ জুনের আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩৭১০ টাকা। 

গত ২৫ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২০১০ এবং ২০১২ সালের সহকারী শিক্ষদের মধ্যে সৃষ্ট বেতন বৈষম্য দূর করা সংক্রান্ত  একটি আবেদন করার পরও সংশ্লিষ্টরা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করা হয়। 

মো. সাজ্জাদুল হক বাবুল, মো. আব্দুস সালাম, মো. সাফায়েত, মো. মিজানুর রহমান, মীর মোশাররফ হোসেন, কামাল হোসেন, মো. কবির হোসেনসহ ২৫ জন সহকারী শিক্ষক এ রিট দায়ের করেন।

আমারসংবাদ/এসআর/জেআই