Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে পবিপ্রবি গবেষকদের অবদান

নভেম্বর ১৩, ২০২১, ১২:৫০ পিএম


দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে পবিপ্রবি গবেষকদের অবদান

দক্ষিণবঙ্গের সর্ববৃহৎ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কৃষিনির্ভর এ প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণবঙ্গের কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো। ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠানকে দুমকি কৃষি কলেজ থেকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করেন। যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে গবেষণার ক্ষেত্রেও এগিয়ে যায়  প্রতিষ্ঠানটি। ২১ শতকের কৃষি বিপ্লবে অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকরা। তাদের অক্লান্ত শ্রম ও গবেষণায় একের পর এক নানাবিধ সমস্যার সমাধান যেমন হয়েছে, তেমনি কৃষি গবেষণায় অনেক ধাপ এগিয়েছে।  এছাড়াও  বিভিন্ন সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে কৃষির প্রসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কৃষকদের নিয়ে আধুনিক কৃষির ওপর বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকেন। দেশের কৃষিতে বিপ্লব সাধনেও তাদের রয়েছে অসামান্য অবদান। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু গবেষণা তুলে ধরেছেন মো. ইমরান হোসেন, তামান্না আফরোজ মিতু ও প্রতিমা দাস                                       

[media type="image" fid="149989" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানী
পবিপ্রবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানীর নেতৃত্বে একদল গবেষক ২০১১ সাল থেকে দক্ষিনাঞ্চলের উপকূলীয় অঞ্চলের বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন ফলের নতুন জাত নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ৯ টি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। এই গবেষণা দলে আরো রয়েছেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ ফখরুল হাসান, ২ জন পিএইচডি শিক্ষকসহ সহ ১২ জন মাস্টার্স শিক্ষার্থী।তাঁদের উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় ফল বইচির নতুন প্রজাতি পিএসটিইউ বইচি-১, কামরাঙার দুইটি প্রজাতি পিএসটিইউ কামরাঙা-১ এবং ২, বিলাতি গাবের দুইটি প্রজাতি পিএসটিইউ বিলাতি গাব-১ এবং ২, ডেউয়া ফলের দুইটি প্রজাতি পিএসটিইউ ডেউয়া-১ এবং ২, তেঁতুলের একটি মিষ্টি প্রজাতি পিএসটিইউ তেঁতুল-১ এবং বাতাবিলেবুর একটি প্রজাতি পিএসটিইউ বাতাবিলেবু-১। এ সকল উদ্ভাবিত প্রজাতির মধ্যে সব চেয়ে বেশি সাফল্য পিএসটিইউ বিলাতি গাব-২ থেকে পেয়েছেন বলে মনে করছেন গবেষণা প্রধান অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানী। তিনি বলেন “বিলাতি গাবের এই প্রজাতি ১০০% বীজ বিহীন। এটি মূলত একটি খাটো প্রজাতি, মাত্র এক ফুট উচ্চতার গাছ থেকেই এর ফলন পাওয়া সম্ভব এবং এর গ্রাফটিং লাগানোর তিন বছরের মধ্যেই গাছে ফল আসা শুরু হয়।  এসব বৈশিষ্ট্য এর জন্য পিএসটিইউ বিলাতি গাব-২ প্রজাতি টি ছাদবাগানের জন্য উপযুক্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন ইতোমধ্যে এই জাত টি কৃষক পর্যায়ে দেয়া হচ্ছে যা দিনে দিনে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কৃষকদের মধ্যে।                  

[media type="image" fid="149990" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুল হক
দক্ষিনাঞ্চলের মাটির হলো লবণাক্ত। অতিরিক্ত লবণের কারণে এই অঞ্চলের কৃষকরা বরাবরই ফলস ফলাতে বিভিন্ন বিঘ্নের সম্মুখীন হয়। বিশেষ করে খরা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায়, মাটির উপরিতলের পানি বাষ্পীভূত হলে মাটির উপরে লবণের সাদা আস্তরণ তৈরি হয় যার ফলে জানুয়ারি-এপ্রিলে ফসল ফলানো কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। অতিরিক্ত লবণের কারণে গাছ মারা যেতে থাকে।দক্ষিনাঞ্চলের কৃষকদের কথা চিন্তা করে লবণাক্ত মাটিতে ফসল ফলানোর গবেষণা করে যাচ্ছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুল হক। লবণাক্ত মাটিতে ফসল ফলানোর জন্য তিনি বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। যেমন তিনি জানিয়েছেন, যেসব উদ্ভিদের মধ্যে দুরত্ব বেশি থাকে যেমন- লাউ, মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, বাঙ্গি ইত্যাদি ফসলের চারা ডিসেম্বর মাসে তৈরি করে, খরা মৌসুমের শুরুতে যদি এসব গাছের গোড়ায় পলিথিন দিয়ে মালচিং করে দেয়া হয় তাহলে গাছের গোড়া থেকে পানি বাষ্প হয়ে যবে না, যাতে মাটিতে লবণের পরিমাণ বাড়তে পারবে না। তিনি বলেছেন, এভাবে শুধু গাছের গোড়ায় পানি দেয়ার মাধ্যমে গাছের গোড়া বেশি সময় ভেজা রাখা সম্ভব যাতে কৃষকদের খরচ ও কম হবে এবং ফসল ফলাতে তারা বিঘ্নের সম্মুখীন ও হবে না। তিনি আরো বলেছেন, তাঁরা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে দেখেছেন, মাটিতে বিভিন্ন জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে লবণাক্ত মাটিতে ফসল ফলানো সম্ভব। এছাড়া জমিতে বিভিন্ন ধরনের পিট তৈরি করেও পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, গাছের গোড়ায় মাটি একটু উচু করে পিট তৈরি করে, শুধুমাত্র গাছের গোড়ার মাটিতে পানি দিয়েও লবণ মুক্ত রাখা যায় গাছকে।

[media type="image" fid="149991" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় সুপারি ও নারিকেল গাছে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রজাতির ব্যাগওয়ার্ম সর্বপ্রথম সনাক্ত করেছেন পবিপ্রবির কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এর নেতৃত্বে একদল গবেষক। ২০১৮ সালে পবিপ্রবি খামারের সুপারি গাছে সর্বপ্রথম এই ব্যাগওয়ার্ম লক্ষ্য করে গবেষণার মাধ্যমে তার জীবনচক্র পর্যবেক্ষণ করেন বলে জানিয়েছেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। পরিক্ষার মাধ্যমে গবেষকবৃন্দ নিশ্চিত হয় যে এটা মাহাসিনা করবেটি (Mahasena corbeti) নামক একটি মারাত্মক ক্ষতিকর ব্যাগওয়ার্ম। পরিসংখ্যানে দেখা যায় এই পোকার আক্রমণে গাছের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয় এবং ৪০-৫০% ফলন নষ্ট হয়ে যায়। এই পোকার সঠিক দমন পদ্ধতি উদ্ভাবনে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের এই গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সাময়িকী “ ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইনোভেটিভ রিসার্চ” এ ২০১৯ সালের এপ্রিল ইস্যুতে প্রকাশিত হয়।এছাড়াও দক্ষিনাঞ্চলে নারকেল গাছে নতুন প্রজাতির একটি মাইট সনাক্ত করেন ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল গবেষক। তাঁরা নতুন প্রজাতির মাইট টির বৈজ্ঞানিক নাম দিয়েছেন Hauptenia bandarbanensis Jhan & Rahman, ২০১৮ । এই মাইটের আক্রমণে প্রায় ৬০% ফলন এবং ২৬% শুষ্ক শাঁস কমে যায় তাই এর বিস্তার কিভাবে রোধ করা যায় তা নিয়ে কাজ করছেন এই গবেষক দল। এই গবেষণা দলের অন্যান্য গবেষক হলেন প্রফেসর ড. এস. এম. হেমাহেত জাহান, প্রফেসর ড. কিয়ং ইয়ল লী, পিংকী মন্ডল এবং পিযূষ কান্তী ঝাঁ। এছাড়াও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান গবেষণার সূচনালগ্ন থেকেই ইনসেক্ট সিস্টেমেটিক্সের উপর কাজ করে আসছেন এবং ইতোমধ্যে বিশ্বে ২৯ টি নতুন প্রজাতির এবং ৪০ টি দেশে প্রথম বারের মতো শনাক্তকৃত প্লান্টহোপার ও লিফহোপার প্রজাতি শনাক্ত করেন যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।  গত আট বছর ধরে তিনি তাঁর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইনসেক্টের টেক্সোনমিক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৮ সালের মে মাসে তাঁর তত্বাবধানে একজন এম.এস ছাত্র সাইফুল আলম আম গাছে প্রথম বারের মত দুটি ম্যাঙ্গোহোপার শনাক্ত করেন যা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়াও রয়েছে জিনোম সিকুয়েন্সিং সহ নতুন প্রজাতির প্ল্যান্টহোপার, Acarus cocosi Mondal, Rahman & Jahan, ২০১৬ যা বান্দরবান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

[media type="image" fid="149992" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

অধ্যাপক ড. শামীম মিয়া
পবিপ্রবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম মিয়া ২০১৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম বায়োচার নিয়ে কাজ করা শুরু করেন। বায়োচার হলো এক ধরনের কয়লা যা বাতাসের অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে তাপের সাহায্যে বায়োমাস (যেমন কাঠ, কাঠের গুঁড়া, আগাছা, পশুর বর্জ্য, উদ্যানে থাকা বর্জ্য) থেকে তৈরি করা হয়। এখানে মূলত কার্বনের গঠনগত পরিবর্তন হয়। বায়োচারের প্রধান উপকারিতা হলো এটি মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে, ফসলের ফলন প্রায় ১০% বৃদ্ধি করে,  রাসায়নিক সারের কার্যকারিতা বাড়ায়, এছাড়াও এর মাধ্যমে জৈব বর্জ্য ম্যানেজমেন্ট করা যায় এবং এই প্রক্রিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করাও সম্ভব। এটি ব্যাবহার করে খাবার পানি থেকে আর্সেনিক কমানো সম্ভব। বায়োচার বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করা যায়, আমাদেরকে নিজেদের টার্গেট অনুযায়ী বায়োচার তৈরি করতে হবে। অধ্যাপক ড. শামীম মিয়া জানিয়েছেন প্রতি কেজি বায়োচার উৎপাদনে বর্তামানে তাঁর ৫০ টাকা খরচ হচ্ছে যা বানিজ্যিক ভাবে আরো অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। যদিও আস্ট্রেলিয়া, চীন বানিজ্যিক ভাবে বায়োচার উৎপাদন এবং রপ্তানি করছে কিন্তু বাংলাদেশে এখনো বানিজ্যিক ভাবে বায়োচার তৈরি করা হচ্ছে না। তবে পবিপ্রবি থেকে অধ্যাপক ড. শামীম মিয়া গবেষণার কাজে সীমিত পরিমান বায়োচার সরবরাহ করে থাকেন। এছাড়াও পবিপ্রবির সকল শিক্ষকগণ প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছেন কিভাবে দক্ষিনাঞ্চল সহ দেশের কৃষিক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করা যায়।             

[media type="image" fid="149993" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

অধ্যাপক ড.গোপাল সাহা
পবিপ্রবিতে ক্রপের স্ট্রেজ ম্যানেজমেন্ট  নিয়ে গবেষণা করছেন পবিপ্রবি কৃষি অনুষদের কৃষি-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.গোপাল সাহা এবং তার রিসার্চ টিম। পটুয়াখালী অঞ্চলের ন্যায় বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে লবনাক্ততা সহিষ্ণু,খরা সহিষ্ণু,জলাবদ্ধতা এবং তাপমাত্রা সহিষ্ণু উচ্চফলনশীল ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ পরিচালিত হচ্ছে?  গবেষণা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড.গোপাল সাহা বলেন,” আমরা মূলত ধান এবং আমাদের বিলুপ্তপ্রায় শস্য তুলার উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করছি। এখানে স্থানীয় যেসকল শস্য কৃষকেরা উৎপাদন করে তা এই স্থানে অভিযোজিত হলেও ইজজও উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল শস্য বিভিন্ন কারনে অভিযোজিত হতে পারছেনা।আমাদের উদ্দেশ্য  আমাদের  স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শস্যগুলোকে লবনাক্ততা সহিষ্ণু,  খরা সহিষ্ণু ফসলে রুপান্তরিত করা। গবেষণার তথ্য মতে, কুটিয়াকোন এবং কাজলসালি ধানের জাত উচ্চ পর্যায়ের লবনাক্ততা সহিষ্ণু ধানের জাত এবং তুলসিমালা, দুধকমল, বিরিন্দি,বুশিহারা, লালমোটা প্রভৃতি মধ্যম পর্যায়ের লবনাক্ততা সহিষ্ণু। এছাড়াও আমাদের ফসলের পিউরিফিকেশন নিয়ে গবেষণা চলছে। ফসলের পিউরিফিকেশন অর্থাৎ যুগ যুগ ধরে স্থানীয় কৃষকদের চাষ করা ফসলের জাত অক্ষুণ্ণ আছে কিনা কিংবা নতুন ভ্যারাইটির বৈশিষ্ট্য দেখা দিচ্ছে কিনা। আমাদের লক্ষ্য, এসকল স্থানীয় ফসলের মূল জাতবৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে ক্রসিং এর মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল শস্যে পরিনত করা। উল্লেখ্য, সাদা মোটা কিংবা লাল মোটা আমাদের পটুয়াখালী -বরিশাল অঞ্চলের গৌরব। এগুলোর জাতবৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে উচ্চ ফলনশীল শস্য হিসেবে কৃষকদের মধ্যে মাঝে ফিরিয়ে দেবার প্রত্যাশা রয়েছে। অধিকন্তু, পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় ফসলের উৎপাদন, ইন্টারক্রোপিং পদ্ধতিতে তুলা উৎপাদন এবং উদ্ভিদের ম্যাক্রো এবং মাইক্রো উপাদানের পাশাপাশি সিলিকন, হাইড্রোজেন সালফাইড, গ্লাইসিন বিটেইন, প্রোলিন প্রভৃতি উপাদান কিভাবে ফসল উৎপাদনে ভূমিকা রাখে এ নিয়েও গবেষণা চলছে।

আমারসংবাদ/এআই