Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

হাবিপ্রবির ১৯ ও ২০ ব্যাচেও সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবি

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

নভেম্বর ১৬, ২০২১, ০২:১০ পিএম


 হাবিপ্রবির ১৯ ও ২০ ব্যাচেও সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবি

করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধের পর সশরীরে শিক্ষা-কার্যক্রম চালু করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে ফিরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকাংশ শিক্ষার্থী। ফের প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছে হাবিপ্রবি ক্যাম্পাস।

করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসে এবং প্রতি ক্রেডিটের জন্য ৫০ মিনিটের ক্লাসের পরিধি বাড়িয়ে ৭০ মিনিট করার মতো যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫৮ তম একাডেমিক কাউন্সিলে।

৫৮ তম একাডেমিক কাউন্সিলের আলোচনা সভা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা চলমান থাকবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০ ও ২০১৯ সালে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী এবং তাদের সাথে রি-অ্যাড হওয়া শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকবে। তাদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে পরবর্তীতে অফলাইনে পরীক্ষা ও ক্লাস শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তিন সপ্তাহ পরও সশরীরে ক্লাসের সুযোগও হলে ওঠার বিষয়ে নতুন কেনো পায়নি এই দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে সশরীরের শিক্ষা-কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে এবং হলে উঠতে চায় তাঁরা। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেইসবুকে মন্তব্য করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাইয়েবা ইসলাম মীম বলেন, করোনার কারণে সবকিছু যখন খোলা তখন স্কুল-কলেজসহ  বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিলো বন্ধ। সবশেষে এক এক করে হাবিপ্রবি সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলেও হাবিপ্রবির ১৯ এবং ২০ ব্যাচ ফিরতে পারছি না ক্যাম্পাসে। অনলাইন ক্লাসে আর মন বসে না। তাছাড়া অনলাইনের ক্লাস কখনো সশরীরে ক্লাসের বিকল্প হতে পারে না।

ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, 'ক্যাম্পাসে সশরীরে ক্লাস শুরু না হলেও টিউশন,পড়াশোনা সহ নানা কারণে অনেকেই অতিরিক্ত খরচ বহন করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে অনেক শিক্ষার্থী। করোনার সার্বিক পরিস্থিতি এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ বিবেচনায় দুইটি ব্যাচকে সশরীরে ক্লাস এবং হল থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত কোনোভাবে কাম্য নয়। অতিদ্রুত এই ব্যাপারে শিক্ষার্থী বান্ধব সিধান্ত নেয়া হোক'।

কবে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৯ তম এবং ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সশরীরে শিক্ষা-কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং হলে অবস্থান করতে পারবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক ড. শ্রীপতি সিকদার বলেন, 'এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেবে'।

তবে কবে একাডেমিক কাউন্সিল হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আশাকরি খুব শীঘ্রই একাডেমিক কাউন্সিল হতে পারে'।

উল্লেখ্য, এর আগে হাবিপ্রবির ৫৮ তম একাডেমিক কাউন্সিলে ১৮ অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে হল খোলা এবং ২১ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।