Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্বল নেটওয়ার্ক

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

নভেম্বর ২৩, ২০২১, ০৯:৩৫ এএম


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্বল নেটওয়ার্ক

দেশের দ্বিতীয় এবং উত্তরবঙ্গের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এর দেশব্যাপী পরিচিতি থাকলেও এখনো উচ্চমানের ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এবং ৮টি আবাসিক হলের মাত্র একটিতে ওয়াই-ফাই (ইন্টারনেট) সেবা থাকলেও দুর্বল ফ্রিকুয়েন্সির কারণে নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। ফলে ই-লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম থেকে পিছিয়ে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ বিশেষকরে তাজউদ্দীন আহমেদ হল, ডরমিটরি-২, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা চরমে উঠছে। হলের সামনে মোবাইলে দু একটি নেটওয়ার্ক টাওয়ারের দেখা মিললেও হলে প্রবেশের সাথে সাথে তা অদৃশ্য হয়ে যায়। গ্রামীণফোন বলছে দশতলা ভবনের কারণে তাদের সিগনাল পাস হতে এবং তাদের নিজস্ব অবকাঠামো উন্নয়নজনিত সমস্যায় নির্বিঘ্ন সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই সমস্যা সহসাই হাল হচ্ছে না, সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সহ চারটি অপারেটর গ্রামীনফোন, রবি, টেলিকক ও বাংলালিংককে চিঠি পাঠানো হয়। তারা এসে হলগুলো থেকে সিগনাল মেজারমেন্ট করে নিয়ে চলে যায়। তবে কবে নাগাদ সমস্যা সমাধান হবে তা জানেন না কেউ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুরো ক্যাম্পাসে ওয়াই-ফাই আওতায় আনার কথা থাকলেও শুধু টিএসসিতে সীমাবদ্ধ। ধীরগতি, দুর্বল ফ্রিকুয়েন্সি এবং যে দু তিনটি পয়েন্টে ওয়াই-ফাই সুবিধা পাওয়া যায় সেখানেও সময়ের সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।  ক্লাস শিক্ষকদের দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট ও অনলাইনে বিভিন্ন বই কিংবা উপকরণ খোঁজার জন্য শিক্ষার্থীরা নিজেদের খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বাড়তি অর্থের চাপে। আবার সেই ওয়াই-ফাই সংযোগ সেবা নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। 

এ বিষয়ে ডরমিটরি-২ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, হলে তো বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ওয়াই-ফাই নেই, তাই আমরা ডাটা কিনে আমাদের কাজ চালাই। কিন্তু দেখা যায় আমাদের হলে ঢোকার পরে নেটওয়ার্ক আর থাকেনা। অনেক কষ্টে কল করা যায়, তাও আবার কথা কেটে-কেটে আসে। আর হলের মধ্যে নেট চালানো তো এক প্রকার বিলাসী চিন্তা। আবার বাঁশেরহাটের যে একমাত্র ওয়াই-ফাই সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের ওয়াই-ফাই ও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। স্পিড নিয়ে তো কথাই না বলি।

পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে কবে নাগাদ ওয়াই-ফাই এর আওতায় আনা হবে তা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক মো: মেহেদী হাসান জানান, ক্যাম্পাসের প্রতিটি পয়েন্টে যেনো ওয়াই-ফাই যায়, ভিসি স্যার আমাদের সেই বিষয়ে কাজ করতে ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন। পুরো ক্যাম্পাস ওয়াই-ফাই এর আওতায় আনার ক্ষেত্রে ফান্ডিং একটি বড় বিষয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে অনেকটা কষ্টকর। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় এগিয়ে আসলে ভালো হয়। আমরা একটা প্লান করে মন্ত্রণালয়ে দিবো, দেখাযাক তারা কিভাবে এটা বাস্তবায়ন করে। 

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. শফিকুল ইসলামকে আহবায়ক করে, হলসুপার কাউন্সিলের সভাপতি ও ডরমিটরি-২ হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. মো: গোলাম রাব্বানী ও আমাকে নিয়ে একটি কমিটিও গঠিত হয়েছে। আমি ইতোমধ্যে প্রাথমিক স্ট্রাকচার দেখিয়ে দিয়েছি স্যারকে। এখন সে অনুযায়ী আগাবে কাজ।

দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হোক এমনটাই প্রত্যাশা শিক্ষার্থীসহ সকলের।

আমারসংবাদ/কেএস