Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

আটকে আছে সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ, বাড়ছে শিক্ষক সংকট

শিক্ষা ডেস্ক

নভেম্বর ২৪, ২০২১, ০৬:০০ এএম


আটকে আছে সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ, বাড়ছে শিক্ষক সংকট

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে ১১ মাস আগে দুই হাজার ১৫৫ প্রার্থীকে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সুপারিশ করলেও এখনো আটকে আছে নিয়োগ।

জানা গেছে, তিন বছর ধরে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া শেষ। হয়ে গেছে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও। বাকি কেবল পুলিশ ভেরিফিকেশন। আর এতেই আটকে গেছে এই নিয়োগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ ভেরিফিকেশনে বিলম্ব হচ্ছে। প্রাক-চাকরিজীবন বৃত্তান্ত যাচাই ফরম পূরণ করে জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল এ বছরের ১১ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি। করোনার কারণে পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ শুরু হয় অনেক দেরিতে। সব সাবজেক্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে। শুধু বাংলা বিষয়ের ভেরিফিকেশন এখনও চলমান। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-১) ডা. সৈয়দ ইমামুল হোসেন বলেন, সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন আর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগের সুযোগ নেই। মাঠ পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ কাজ করতে একটু সময় প্রয়োজন। সেই সময়টাই লাগছে। তবে ভেরিফিকেশন কাজ প্রায় শেষ। শিগগিরই সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ আদেশ জারি করা হবে।

এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তথ্য অনুযায়ী, জাতীয়করণকৃত এবং পুরোনো মিলে দেশে বর্তমানে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৮৭টি। এর মধ্যে পুরোনো ৩৫১টি। এসব প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষকের পদ সাড়ে ১০ হাজারের বেশি। তবে অবসর, মৃত্যু, পদত্যাগসহ বিভিন্ন কারণে দিন দিন শিক্ষকের পদ শূন্য হচ্ছে। এতে শিক্ষক সংকট বাড়ছে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নন-ক্যাডার (দশম গ্রেড) দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এক বছর পর ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একই বছরের নভেম্বরে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলা বিষয়ের ভাইভার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মৌখিক পরীক্ষা। বিভিন্ন বিষয়ের (সাবজেক্ট) ভাইভা চলতে থাকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত। মৌখিক পরীক্ষা শেষে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দুই হাজার ১৫৫ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে পিএসসি। তবে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর প্রায় এক বছর হতে চললেও এখনও সুপারিশপ্রাপ্তরা নিয়োগ পাননি।

আমারসংবাদ/জেআই