Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

নারীর ক্ষমতায়নে শেষ হলো ‘কৃষাণী প্রজেক্ট’

শেকৃবি প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৭, ২০২২, ০১:৫৫ পিএম


নারীর ক্ষমতায়নে শেষ হলো ‘কৃষাণী প্রজেক্ট’

কৃষিতে নারীর ক্ষমতায়নে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নারীদের নিয়ে ৪ মাস ব্যাপী ‘কৃষাণী প্রজেক্ট’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। 

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) ই-কৃষি ক্লিনিক এবং ইয়াস বাংলাদেশ-শেকৃবি শাখার যৌথ আয়োজনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাবল্যাবে 'কৃষিতে নারীর ক্ষমতায়ন' শীর্ষক সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. বিলকিস বেগম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উপ-পরিচালক মৌলী আজাদ, শেকৃবি বহিরাঙ্গন বিভাগের পরিচালক ড. শরমিন চৌধুরী  এবং কৃষি কর্মকর্তা ফাল্গুনী মজুমদার। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ই-কৃষি ক্লিনিকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কৃষিবিদ আফরা নাওয়ার। সমাপনী বক্তব্য রাখেন ইয়াস-বাংলাদেশ শেকৃবি শাখার ডিরেক্টর জান্নাতুন নাঈয়াম সোমা।

এ ছাড়া কৃষাণী প্রজেক্ট'র প্রশিক্ষক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আইপিম স্পেশালিষ্ট আরিফুর রহমান , ফিসারিজ অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, ভিভিফাই'র রিপ্রেজেনটেটিভ,  ই-কৃষি ক্লিনিক ও ইয়াস বাংলাদেশ-শেকৃবি'র সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. বিলকিস বেগম বলেন,  নারীর হাত ধরেই কৃষির সূচনা হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বাণিজ্যিক কৃষি শুরু হয়েছে। শুধু কৃষি নয়, সকল উন্নয়নে নারীর অংশীদার নিশ্চিত করতে হবে। নারীর সামাজিক নিরাপত্তা, নারীর প্রতি সহনশীল হতে হবে। আজকের এই চমৎকার উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয়। এটি জাতীয় পর্যায়ে প্রজেক্ট হতে পারে।

ড. শরমিন চৌধুরী বলেন, কৃষাণী প্রজেক্ট খুবই কার্যকর উদ্যোগ। নারীরা ক্ষমতায়নে বাংলাদেশে রোল মডেল নারী উদ্যোক্তারা। আর উদ্যোক্তার কোন বয়স নেই, উদ্যোক্তাদের সাথে কৃষি অধিদপ্তরের সম্বন্বয় প্রয়োজন। বাজারজাতকরণে নারীদের সহযোগিতা প্রয়োজন যাতে কোন বাঁধার সম্মুখীন না হতে হয়। বাজারে আলাদা নারীদের জন্য সুবিধা রাখা দরকার। তাহলে তারা আরো আগ্রহী হবে।

মৌলি আজাদ বলেন, করোনাকালে এ ধরনের ব্যতিক্রম উদ্যোগ খুবই প্রশংসার দাবিদার। এ ধরনের উদ্যোগ এগিয়ে নিতে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে চেষ্টা করব।

অনুষ্ঠানে ৪ মাসব্যাপী কার্যক্রমের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ২০২১ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ মাসব্যাপী ১৩ টি উপজেলায় ৬০ জন কৃষাণী নিয়ে এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হয়। প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন মইনুল হোসেন শোভন। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে ৫ জন কৃষি কর্মকর্তা, ই-কৃষি ক্লিনিকের ৫ জন কনসালটেন্ট, ইয়াস শেকৃবি ও ই-কৃষি ক্লিনিকের ৫ জন হিউম্যান রিসোর্স অফিসার এবং ১৩ জন গ্রীন ভলান্টিয়ার যুক্ত ছিলেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ সেরা গ্রীন ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নাইমুল হাসান শাকিল। এ ছাড়া সবাইকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

আমারসংবাদ/কেএস