Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

শাবিপ্রবিতে সংঘর্ষ: ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৮, ২০২২, ০৯:২৫ এএম


শাবিপ্রবিতে সংঘর্ষ: ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে গেলো রোববার পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।

সোমবার রাতে জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) তিনি বলেন, 'সেদিন শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। পুলিশ আহত হয়েছেন এবং পুলিশের রাবার বুলেট-সাউন্ড গ্রেনেড খরচ হয়েছে। তাই নিয়মরক্ষার জন্য এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।'

মামলা শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন বা হয়রানির উদ্দেশ্যে নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়ছে, ৩ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেয় শিক্ষার্থীরা এবং পুলিশের উপর চড়াও হয়।

এজাহারো আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা পুলিশের সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে, গুলি ছুড়ে এবং পুলিশের উপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩১ টি শটগানের গুলি এবং ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।'

মামলাটি গ্রহণ করে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু খালেদ মামুন তদন্তের দায়িত্ব থানার উপ-পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামানকে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে শাবিপ্রবির একটি আবাসিক হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগ সহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনরতদের ওপরে হামলার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। পরদিন হামলার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সড়ক অবরোধ করেন।

১৬ জানুয়ারি বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ কার্যালয় থেকে বের হলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখলে পুলিশ এসে তাদের লাঠিপেটা করে। পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থীসহ অনেকে আহত হন। এ ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

 আমারসংবাদ/এআই