Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

শাবিপ্রবিতে ভিসি বিরোধী আন্দোলন অব্যাহত

তানভীর হাসান, শাবিপ্রবি

জানুয়ারি ১৮, ২০২২, ০১:৫০ পিএম


শাবিপ্রবিতে ভিসি বিরোধী আন্দোলন অব্যাহত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজু্ন্নেসা ছাত্রী হলের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকেই বিভিন্ন হল থেকে একের পর এক মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে জড়ো হতে থাকেন তারা। এসময় আন্দলোনরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান এবং সমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যান। আন্দোলনের অংশ হিসাবে সকালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের খোলা চিঠি পাঠ করে শোনান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদীন।

পরে দুপুর সাড়ে ১২টায়  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল আন্দোলনের সাথে একত্বতা পোষণ করেন ।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা সমাধানে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহল থেকে আমাকে সুরাহার পথ বের করতে বলেছে। আপনাদের প্রাথমিক দাবী দাওয়া যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়। আলোচনা ও সময় সব কিছু বলে দিবে। আমরা আপনাদের মিথ্যা আশ্বাস দিবো না। আপনাদের দাবী দাওয়া যাতে আদায় হয় সেই লক্ষে আমরা পাশে থাকবো। আহতদের হাসপাতালের বেডে আমরা দেখে এসেছি। শিক্ষার্থীদের দাবী দাওয়ার সাথে আমরা দলীয় ও ব্যক্তিগতভাবে একত্বতা পোষণ করবো।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন-সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পরবর্তীতে তারা দুপুর ২ টার দিকে গোলচত্বর থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। 

এসময় তারা, "বকুল ফুল বকুল ফুল, ফরিদ তুমি করছো ভুল","স্বৈরাচারের কালো হাত, ভেঙে দাও গুরিয়ে দাও"

"পতন পতন পতন চাই, ফরিদের পতন চাই"

"ভয় দেখিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না" ইত্যাদি স্লোগানের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যান।

পরবর্তীতে বিকালে  শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কথা শুনেননি। 

এদিকে গত রোববার অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে গেলো পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
 
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত নয়টা থেকে বেগম সিরাজুননেসা চৌধুরী হলের প্রভাস্ট বডির বিরুদ্ধে নানান অভিযাগ এনে তিন দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ছাত্রীরা। কিন্তু, গত রোববার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখালে তাদের উপর পুলিশি হামলার পর এই আন্দোলন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রুপ নেয়।

এরপর গত রোববার সন্ধ্যায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং সোমবার দুপুর বারোটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এই নির্দেশ উপেক্ষা করে  ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন এবং হলগুলোতে তালা ঝুলিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনেন।