Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের অবাধ প্রবেশ, নেই কার্যকরী পদক্ষেপ

মোসাদ্দেকুর রহমান, জাবি প্রতিনিধি:

জানুয়ারি ২৮, ২০২২, ০২:০৫ পিএম


ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের অবাধ প্রবেশ, নেই কার্যকরী পদক্ষেপ

দীর্ঘ ১৯ মাস পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) খুললেও দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপ বিবেচনায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুনরায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সকল প্রকার জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও ছুটির দিনে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মূল গেইট গুলো বন্ধ থাকলেও পকেট গেইটগুলো দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে স্বাচ্ছন্দ্যে প্রবেশ করছে বহিরাগত ও দর্শনার্থীরা। প্রবেশ ঠেকাতে চোখে পড়ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ। দেশের নানা প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় খাবার খেতে আসেন। এ সময় তারা বিভিন্নভাবে শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে আসার ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন অনেকে। এছাড়াও বহিরাগত ও দর্শনার্থীদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্যক্তের শিকার হওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইট বন্ধ থাকলেও কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন পকেট গেইট দিয়ে অসংখ্য দর্শনার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। এরকম আরও ছয়টি পকেট গেইট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে দর্শনার্থীরা।  

[media type="image" fid="158321" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বলেন, আমরা বহিরাগত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইটগুলো দিয়ে দর্শনার্থীরা যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা তদারকি করছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরে অসংখ্য পকেট গেইট থাকায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। আমাদের জনবলের সংকট থাকায় তারা আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে।

[media type="image" fid="158322" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, আমাদের মূল প্রাধান্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীরা অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যেকোনোভাবে দর্শনার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে হবে। করোনা পরিস্থিতি বিচেনায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের পকেট গেইটগুলো বন্ধ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।

পকেট গেইটগুলো বন্ধে কেন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না এ বিষয়ে জানতে চাইলেবিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিরাপত্তা অফিসের। দর্শনার্থীদের প্রবেশ ঠেকানোর দায়িত্বও তাদের। পকেট গেইটগুলো খোলা থাকবে নাকি বন্ধ করা হবে এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করবো।

[media type="image" fid="158323" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে বহিরাগতদের দ্বারা দুই ছাত্রীকে উত্যক্ত করার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে প্রশাসনকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। এছাড়াও সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেওয়া তথ্য মতে, গত ২১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৭০%। অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন, বহিরাগত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে না পারলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে।

আমারসংবাদ/এমএস