Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

‍‍`মানবিক ও প্রায়োগিক জ্ঞানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে‍‍`

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

মে ১৭, ২০২২, ০৭:৫৯ পিএম


‍‍`মানবিক ও প্রায়োগিক জ্ঞানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে‍‍`

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেছেন, মহান মুজিববর্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তিতে ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল এন্ড রিসার্চ ফেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল এবং রিসার্চ ফেয়ার একে অপরের পরিপূরক। আজকের প্রোগ্রামে মোট ৪১টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছেন। আমি এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আজকে প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

যুগের চাহিদা অনুযায়ী এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদকে তাদের সিলেবাস সাজাতে হবে। যে গবেষণা জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং দেশের শিল্পায়নে ভূমিকা রাখে সে গবেষণার দিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ কর্তৃক আয়োজিত "ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল এন্ড রিসার্চ ফেয়ার ২০২২" অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আগামী ১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি অনুষদের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার বিনিমার্ণ বিষয়ক একটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে। আমাদেরকে 
মানবিক এবং প্রায়োগিক জ্ঞানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে।

আমরা যে কোনো সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ করে সম্মান করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় অসম্প্রদায়িক চেতনা কে ধারণ করে আসছে। আমাদের পাঠন-পঠন যেন এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রাখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করবে এবং বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করে সেই জ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এটাই আমাদের বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, আজকের এই  প্রোগ্রাম  গবেষণার জন্য একটি তাৎপর্য পূর্ণ ঘটনা। আজকাল আমরা দেখি বিভিন্ন স্থানে চাকরির মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটা আমাদের সমাজ পরিবর্তনের একটা ধাপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরেক বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ১৯৭৪ সালেই সমুদ্র সীমানা নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলেন।অথচ জাতিসংঘ তা করেছিলেন ১৯৮২ সালে। তিনি অনেক দূরদর্শী নেতা ছিলেন।  প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।তাই জাতির প্রয়োজনে পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদের অনুষদ কাজ করে যাচ্ছে।  শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন কী ধরনের গবেষণা করলে দেশ ও জাতির কল্যাণ হবে তা আজকের প্রোগ্রামের তারা যারা স্টেকহোল্ডার‌ তাদের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা তৈরি করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তার কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা।আমাদের উচিত তার হাত কে শক্তিশালী করা।বাস্তব জীবনে ক্যারিয়ার এবং গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডীন এবং ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল এন্ড রিসার্চ ফেয়ার -২০২২ এর  আহ্বায়ক ড. জিল্লুর রহমান বলেছেন, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাজ করে যাচ্ছে।ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল এন্ড রিসার্চ ফেয়ারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ পেশা সম্পর্কে জানতে পারবে।

অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব  এবং সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক  আজম চৌধুরী বলেছেন , সমুদ্র সম্পদ কে কাজে লাগিয়ে জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি ডকুমেন্টারী প্রদর্শন‌ করা হয়। এতে অনুষদভুক্ত ৫টি বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের কয়েক শত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!