Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

র‌্যাংকিং ধারণা বাজার নির্ভর শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য: শিক্ষা উপমন্ত্রী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জুন ২৬, ২০২২, ০৬:৩৫ পিএম


র‌্যাংকিং ধারণা বাজার নির্ভর শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য: শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল বলেছেন, "র‌্যাংকিং ধারণা বাজার নির্ভর শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেসব পত্রিকা, বিশেষ করে গার্ডিয়ান পত্রিকা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং প্রকাশ করে তারা বাজার নির্ভর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর র‌্যাংকিং করে থাকে। উচ্চ র‌্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর  অধিকাংশই ইংরেজি ভাষার বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে অনেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে গবেষণা করতেছে। আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান খারাপ হলে তো তারা স্কলারশিপ দিতো না।

রোববার (২৬ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত "বাজেট ২০২২-২৩ শিক্ষা ও কর্মসংস্থান" শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, "আমাদের রাজনৈতিক দর্শন হচ্ছে শিক্ষার মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের দেশে বিদেশী অনেক শিক্ষার্থী পড়তে আসে। তাদের পড়াশোনার পেছনে আমাদের অর্থ ব্যয় হয়। আমাদেরকে ১২টি মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করতে হয়। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা বিনিয়োগ অব্যাহত রাখব। শিক্ষার্থীদের কার্যদক্ষতা উন্নয়নে আমাদের নানা ধরনের শর্ট কোর্স চালু করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুঁজিপতিরা শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে চাই না ‌। কিন্তু তারা দক্ষ মানবসম্পদ চাই। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বার্থে তাদের বিনিয়োগ করতে হবে।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স পাস করে এক ব্যক্তি চট্টগ্রামে ১২টি জাহাজের মালিক। কিন্তু তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো কিছু করতে রাজি নয়। এই মনোভাব বদলাতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে অনেকে বিদেশে গিয়ে চাকরি করছে। আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

বাংলাদেশ একটি বৈশ্বিক পৃথিবীতে বাস করে। তাই অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে একাডেমিক লক্ষ্য থাকতে হবে। একাডেমিক কোয়ালিটি বাড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে একটা ভবন নির্মাণ কাজ করতে গেলে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। কিন্তু একাডেমিক পারফরম্যান্স ভালো না হলে ফলাফল শূন্য।
শিক্ষার্থীদের কার্যদক্ষতা উন্নয়নে আমাদের কে নজর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান নয়, টেকনিক্যাল জ্ঞান অর্জন করতে হবে।  পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হওয়ার পর আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে‌।

তিনি আগেকার দিনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন "আমাদের একটা ধারণা আছে 'লেখাপড়া করে যে ,গাড়ি- ঘোড়ায় চড়ে সে।

ভারতের শিক্ষার্থীদের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ভারতের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শর্ট কোর্স করে। বিভিন্ন ভাষা শিখে।ফলে তাদের কর্মদক্ষতা অনেক বেশি। সরকারের বাজেট বাড়ালেই শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা বাড়বে না। শিক্ষার্থীদের সদিচ্ছার প্রয়োজন। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে  অনলাইনে বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্স গুলো শিখতে হবে।

আমাদের দেশে বিশাল শিল্পায়ন হচ্ছেএই শিল্পায়নে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের কে সম্পৃক্ত করতে হবে। সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসি এর চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে এবং গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শবনম আজিমের  সঞ্চালনায় আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ -উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডঃ এ এস এম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডঃ জিয়াউর রহমান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ বক্তব্য রাখেন। এসময় কয়েক শত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!