জাবির উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন: সর্বোচ্চ ভোট পেলেন অধ্যাপক আমির

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব রহিমা কানিজ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ সাক্ষরিত ফলাফলে দেখা যায়, অধ্যাপক ড. আমির হেসেন ৪৮ ভোট পেয়েছেন। অধ্যাপক ড. নুরুল আলম পেয়েছেন ৪৬ ভোট। অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার ৩২ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন।

এছাড়া, অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ২৩ ভোট, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি পেয়েছেন ২০ ভোট, অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ পেয়েছেন ১৯ ভোট, অধ্যাপক পৃথ্বিলা নাজনীন নীলিমা পেয়েছেন ১৫ ভোট ও অধ্যাপক তপন কুমার সাহা পেয়েছেন ৭ ভোট।

অধ্যাপক আমির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আসা প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন। এই প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া অন্য দুই প্রার্থী অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক পৃথ্বিলা নাজনীন নীলিমা।

অন্যদিকে, ফলাফলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা অধ্যাপক নূরুল আলম ও অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’-এর একাংশের একটি প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। উল্লেখ্য, অধ্যাপক নূরুল আলম ওই প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন। ওই প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া আরেক প্রার্থী অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ।

প্রসঙ্গত, উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের একক এজেন্ডা নিয়ে শুক্রবার বিকাল চারটায় বসে সিনেটের অধিবেশন। প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব শেষ হওয়ার পর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা (রেজিস্ট্রার) ভোট গ্রহণ শুরু করেন। গোপন ব্যালটে কয়েকজন সিনেট সদস্যের ভোট নেয়ার পর বিকেল পাঁচটার দিকে প্রার্থীদের প্রচারণার জন্য এক ঘণ্টার বিরতি দেয়া হয়। এরপর সন্ধ্যা ছয়টায় পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় ভোটগণনা। ভোটগণনা শুরু হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে মিললো ফলাফল।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ জুলাই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের নির্দেশে সিনেট সভার একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই ৩ জনের মধ্য থেকে একজনকে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য।

আমারসংবাদ/এসএম