Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

হলের রুম দখলকে কেন্দ্র করে ঢাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাবি প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৮:৪০ পিএম


হলের রুম দখলকে কেন্দ্র করে ঢাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলে রুম দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে সূর্যে সেন হলের ২২৮, ২৩৭, ২৪৮ এই তিন রুমে অতিরিক্ত ছাত্র প্রবেশ করানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন সমর্থিত তুষার-রাকিব গ্রুপের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সমর্থিত শৈশব গ্রুপের সদস্যদের হাতাহাতির এই ঘটনা ঘটে। এতে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভপতি মাজহারুল কবির শয়নের সমর্থিত গ্রুপের তুষার-রাকিরের অনুসারীরা উল্লেখিত রুম গুলোতে তাদের সমর্থিত ছাত্রদের সিট দেয়। এই ঘটনা জানতে পেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সমর্থিত গ্রুপের শৈশব ও তার অনুসারীরা এসে তাদের রুম থেকে বের করে দেয়। এর ফলে দুই গ্রুপের সদস্যদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে । একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের দ্বিতীয় বর্ষের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানায়, বেলা চারটায় হঠাৎ করেই ২২৮ রুমে চার জন্, ২৩৭ রুমে দুইজন এবং ২৪৮ নং রুমে শয়নের সমর্থিত এক ছাত্রকে হলের ক্যান্ডিডেট তূষার ভাইয়ের সমর্থিত সিনিয়ররা এসে সিট দেয়। এতে সৈকতের সমর্থিত  ক্যান্ডিডেট শৈশবের গ্রুপের সিনিয়ররা ঘটনাস্থলে এসে তাদের রুম থেকে বের করে দেয়। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং সবাই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের হল পদ প্রত্যাশী ১৬-১৭ সেশনের মার্কেটিং বিভাগের তুষার হোসাইন বলেন, আমি শয়ন ভাইয়ের রাজনীতি করি কিন্তু হলে আমার কোনো অনুসারী নেই। আজকের ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

অপর হল পদ প্রত্যাশী শৈশব বলেন, প্রতিটি হলের অঞ্চলভিত্তিক রুম বরাদ্দ হয়ে থাকে। কিন্তু সূর্যসেন হলে এখনো আলাদা রুম বরাদ্দ করেনি ছাত্রলীগ। কিন্তু হঠাৎ আজ বিকেলে খুলনা জোনের ২০১৬-১৭ সেশনের তুষার ও রাকিব তার অনুসারী জুনিয়রদের তিনটি রুমে সিট দেয়। যেখানে নতুন শিক্ষার্থীর ধারণক্ষমতা ছিলো না। খবর শুনে আমি ২৪৮ নাম্বার রুমের সামনে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাকিব আমার গলা টিপে ধরে, সাথে তূষার দাঁড়িয়ে তাকে সমর্থন দেয়। কিছুক্ষণ পরে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শয়ন ভাই এসে তূষারের অনুসারীদের রুম থেকে সরিয়ে দেয়।

ছাত্রলীগের ঢাবি সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, হাতাহাতি বা সংঘর্ষ এমন কিছুই ঘটেনি। রুম দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং রাত ১০টায় প্রোগ্রাম ডেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করি।

উল্লেখ্য, পূর্বেও খুলনা জোনের হল পদ প্রত্যাশী মার্কেটিং বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের তূষারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতন, শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে চাঁদা দাবি, ক্যান্টিনে ফ্রি-তে খাওয়া, রুম দখল সহ অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া যায় এবং এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে নিউজও প্রকাশিত হয়েছিলো।

কেএস

Link copied!