Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ডা. ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা

আমার সংবাদ ডেস্ক

আগস্ট ২১, ২০২১, ০৩:৩৫ পিএম


ডা. ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা

নিউ ইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের সুপরিচিত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেছেন কুইন্স এলাকার পাঁচ নারী। বিভিন্ন সময়ে রোগীদের যৌন নির্যাতন, অকারণে বুক স্পর্শ করা, এমনকি ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েদের অযৌক্তিক স্তন পরীক্ষাসহ নানাভাবে নারী রোগীদের হয়রানির অভিযোগে কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে এ মামলা দায়ের করা হয়।  এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্কের জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম দ্যা সিটি।

কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার বরাত দিয়ে দ্যা সিটি জানায়, ডা. ফেরদৌস গত দুই দশক ধরে অকারণে নারী রোগীদের বুক স্পর্শ করাসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করে যাচ্ছেন। পাঁচ নারী  অভিযোগ করেন, দুই দশক ব্যাপী ঘটনাগুলিতে খন্দকার ফেরদৌস তাদের বুক স্পর্শ করেছিল। এমনকি সামান্য গলাব্যথার মতো উপসর্গ নিয়ে তার কাছে গেলেও অযাচিতভাবে স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেয়ার পাশাপাশি অনেক সময় তাদেরকে আংশিক পোশাক খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ডা. ফেরদৌস।  

অভিযোগে ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে একজন 'সিরিয়াল যৌন শিকারী' হিসেবে অভিযুক্ত করে বলা হয়, যিনি কয়েক দশক ধরে চিকিৎসা সেবা প্রদানের নামে কয়েক ডজন নারী ও তরুণীকে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি করেছেন।

আদালতে দাখিল করা আবেদনের প্রেক্ষিতে দ্যা সিটি জানায়,  ডা. ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যে পাঁচ নারী মামলা করেছেন, তাদের মধ্যে একজন ২০০৩ সালে নির্যাতিত হয়েছিলেন । তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর। তিনি বলেন, ঠান্ডার লক্ষণ ও হাঁপানির চিকিৎসার জন্য খন্দকারের চেম্বারে গিয়েছিলেন। সেখানে  তিনি নিজে নিজে ব্রেস্ট পরীক্ষা করতে পারেন কি না - ডা. ফেরদৌস সেটা তার কাছে জানতে চান।  এক পর্যায়ে তিনি ওই নারীকে তার পোশাক আংশিকভাবে খোলার নির্দেশ দেন। তার এক মাস পর  হাঁপানি বেড়ে গেলে তিনি আবার ডাক্তারের চেম্বারে গেলে ডাক্তার তার খালি স্তন স্পর্শ করেন।

মামলাকারী ওই পাঁচ নারী ক্ষতিপূরণ দাবি করার পাশাপাশি চিকিৎসকের চেম্বারে শারীরিক ও মানসিক হয়রানি, লিঙ্গ সহিংসতা এবং বৈষম্য, চিকিৎসার অপব্যবহার ও  অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি যৌন সহিংসতার জন্য তারা ডা. ফেরদৌসের শাস্তি প্রত্যাশা করেছেন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের শুরুর দিকে দেশের মানুষের সেবা করার জন্য ডা. ফেরদৌস খন্দকার বাংলাদেশে ছুটে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব খন্দকার মোশতাকের ভাতিজা ও বঙ্গবন্ধুর খুনী কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই হিসেবে প্রচারের পর নানা জটিলতায় তিনি নিউইয়র্ক ফিরে যান। 


আমারসংবাদ/ইএফ