Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

ওমানস্থ বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের উদ্দ্যোগ ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন

ওমান প্রতিনিধি

নভেম্বর ২, ২০২১, ০৪:৫৫ এএম


ওমানস্থ বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের উদ্দ্যোগ ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন

ওমানস্থ বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের উদ্দ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন করা হয়েছে।শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ওমানের রাজধানী রাজধানী মাস্কাট আল মাসা হল রুমে এই উপলক্ষে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এন আমিনের পরিচালনায়, এতে সভাপতিত্ব করেন সোশ্যাল ক্লাবের সভাপতি মো: সিরাজুল হক।

হাফেজ ক্বারী মো: আবদুল রহিম-এর পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন সোশ্যাল ক্লাবের সদস্যা মুজাহিদ বিন আলী।

পরে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে রাসুল (সা:) এর অত্ম-জিবনী নিয়ে আলোচনা করেন ক্লাবের ট্রেজারার মাওলানা আবদুল ছালাম আল কদরী।

এতে যৌথভাবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মহসীন আলী সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বশর সরকার ও আবদুল রহিম।

এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- গাল্ফ এক্সচেঞ্জ এর সিইও ইফতেখার উল হাসান চৌধুরী।

এসময় বক্তারা বলেন, ১২ রবিউল আউয়াল মুসলিমসহ সমগ্র দুনিয়ার জন্য একটি অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে পুরো জগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত। হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার এই খ্যাতি ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল। তার মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সৎগুনের: করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তার ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির আল্লাহর হাবীব হিসেবে তিনি সব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।

এদিকে ক্লাবের সভাপতি সিরাজুল হক তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন- বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস, সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন আমরাও প্রতিবছের ন্যায়  এবার এই দিনটি পালন করছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশাল আয়োজন সম্ভব না হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায়  দিনটি পালন করছি সল্প পরিসরে।           

তিনি আরও বলেন এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। ৬৩ বছর বয়সে ১২ রবিউল আউয়ালে তিনি ইন্তেকাল করেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আরব সমাজ যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে ছিল, তখন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে সারা বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ। ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন মহানবী (সা.)। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর এই বার্তা প্রচার করেন।

পরে তিনি, আহ্বায়ক কমিটির ও ক্লাবের সকল কার্যকরী সদস্য এবং যারা আর্থিকভাবে সহযোগীতা করেছেন এবং আগত অতিথিদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, এবং আগামীতেও সবার সহযোগীতা থাকবে বলে আশা ব্যাক্ত করেন।

মিলাদ শেষে বিশ্বের মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা এবং চলমান করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও সবার সুস্থতা কামনায় মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।


আমারসংবাদ/ইএফ