আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া:
জুলাই ৬, ২০২৪, ১২:১১ পিএম
আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া:
জুলাই ৬, ২০২৪, ১২:১১ পিএম
মালয়েশিয়ায় ম্যাসেজ সেন্টার ও হোটেল ব্যবসার আড়ালে দেহ ব্যবসার দায়ে ১১ জন বাংলাদেশি নারী এবং ৭ জন বাংলাদেশি পুরুষ খদ্দের সহ বিভিন্ন দেশের মোট ৭৫ জন নারী পুরুষ কে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শুক্রবার(৫ জুলাই) দুপুর পৌনে ২ টার সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কুয়ালালামপুর ৬ টি এলাকায় এবং শাহলম এলাকার ৬ টি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে অধিকাংশই দেশটিতে বসবাস করার বৈধ কাগজপত্র নেই। বডি ম্যাসেজ ও হোটেল ব্যবসার আড়ালে এসব অনৈতিক কাজ পরিচালনার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে প্রচার করা হত। তাদের সবার বয়স ১৭ থেকে ৪৬ বছর পর্যন্ত। দেহ ব্যবসার সময় প্রতিঘণ্টা ১ শত রিংগিত থেকে ৪ শত রিংগিত আদায় করা হয়। এসময় বিদেশি পাসপোর্ট, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ১০ টি রেজিস্ট্রার বুক সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
আটককৃতরা হলেন, বাংলাদেশের ১১ জন নারী ও ৭ জন পুরুষ খদ্দের, ইন্দোনেশিয়ার ৩২ জন নারী ও ১ জন পুরুষ, ভিয়েতনামের ৪ নারী, ভারতীয় ৬ নারী, মায়ানমারের ২ পুরুষ, মালয়েশিয়ার ৮ জন নারী পুরুষ সহ অন্যন্যা দেশের মোট ৭৫ জন কে আটক করা হয়েছে। তাদের সবাই কে দেশটির অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে অপরাধ করার দায়ে সমস্ত বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও তদন্তের জন্য সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে নেওয়া হয়েছে। আর ৮ জন মালয়েশিয়ান নারী পুরুষ পতিতাবৃত্তির কাজে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তাদের কে কার্যবিধি ১৯৫৯/৬৩ এর সেকশন ৫৬(১)(ঘ) এবং সেকশন ৫৫-ই এর অধীনে গ্রেপ্তার পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ, আগে বাংলাদেশি নারীদের মালযেশিয়ায় পতিতাবৃত্তির কথা না শোনা গেলেও ইদানীং আশঙ্কাজনক বাড়ছে এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতি মুনাফার লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে একটি দালাল চক্র বডি কন্টাক্ট ও টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া এনে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে বাংলাদেশি যুবতীদের মালয়েশিয়ায় এনে তাদের জোর করে এবং কিডন্যাপিং করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
বিআরইউ