Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

খুলছে শিল্পকলা একাডেমি

অক্টোবর ২০, ২০২০, ০৯:০৮ এএম


খুলছে শিল্পকলা একাডেমি

করোনা দুর্যোগের মাঝে খুলছে শিল্পকলা একাডেমি। আগামী শুক্রবার ২৩ তারিখ জাতীয় নাট্যশালাী মঞ্চে পালাকারের নাটকের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শিল্পকলার প্রাঙ্গন নাট্যকর্মী, নাট্যপ্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। ফের প্রাণের এই অঙ্গনে মিলিত হবেন নাট্যপ্রেমীরা। প্রথম দিনে পালাকার মঞ্চস্থ করবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এর উজানে মৃত্যু। নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন শামীম সাগর।

করোনাকালীন ছয় মাসের বেশি সময় বন্ধ ছিলো শিল্পকলা একাডেমিসহ নাট্যঙ্গন। করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে সবকিছু আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। এ অবস্থায় নাট্যশিল্পীদের দাবির মুখে সরব হতে শুরু করেছে নাটকপাড়া। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মিলনায়তনগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা আগামী ২৩ অক্টোবর খুলে দেওয়া হবে। তবে সপ্তাহে মাত্র দুই দিন নাট্যশালার মিলনায়তনগুলো বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

নির্দেশক শামীম সাগর বলেন, ফের নাটক শুরু হচ্ছে, বিষয়টি নাট্যদল পালাকারের জন্য গর্বের এবং আনন্দের। গত সাত মাসে মানুষ মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে। পালাকার মনে করে থিয়েটারের মতন কর্মকাণ্ড মানুষের মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে সক্ষম এবং ট্রমাগস্থতা থেকে বের করে আনতেও সাহায্য করে। বর্তমানের নিও নর্মাল জীবনে মানুষ যত বেশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকবে ততোই মানসিক সুস্থতা বাড়তে থাকবে। যখন প্রতিটা ক্ষেত্রেই মানুষজন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে সেখানে সাংস্কৃতিক অঙ্গন কেন বন্ধ থাকবে। সেদিক থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।

সরকারের স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে সমন্বয় করে মিলনায়তনগুলো ব্যবহার এবং নাটক মঞ্চায়নের জন্য নীতিমালা তৈরি করেছে। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার এবং সরকারি ছুটির দিনগুলোতে মিলনায়তনের বরাদ্দ দেওয়া হবে। দর্শকের বসার জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন ব্যবহার করা যাবে। কোন কোন আসন ব্যবহার করা যাবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে সপ্তাহের সব কটি দিনেই মিলনায়তন বরাদ্দ দেওয়া হবে।

শামীম সাগর বলেন, প্রথম দিনেই পালাকার তাদের নাট্য প্রযোজনা নিয়ে দর্শকসমুখে আসবার সুযোগ পেয়েছে। আর উজানে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর উজানে মৃত্যু হতাশার কথা বললেও পালাকারের উজানে মৃত্যু হতাশা কাটিয়ে নতুন করে জীবনকে সমুখে চালিত করবার স্বপ্ন দেখায়। সেদিক থেকে এই সময়ে উজানে মৃত্যু’র প্রদর্শনী সময়োপযোগী এবং যথাযথ এটা বলাই যায়।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে জানা গেছে, একাডেমির মিলনায়তন পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি আগত দর্শকের শরীরের তাপমাত্রা মেপে হলে প্রবেশ করানো হবে। এ ছাড়া দর্শকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে।

করোনা পরিস্থিতিতে গত ১৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সারা দেশে নাট্য প্রদর্শনী বন্ধ ঘোষণা করে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটও সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান।

আমারসংবাদ/এমআর