Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

রুবেলের ডিএনএ টেস্টের জন্য শিগগির আদালতে আবেদন

ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪, ০১:৪০ পিএম


রুবেলের ডিএনএ টেস্টের জন্য শিগগির আদালতে আবেদন

  জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্রের নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা ধর্ষণ মামলার ফরেনসিক প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর রুবেলের ডিএনএ টেস্টের জন্য শিগগির আদালতে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন হ্যাপি ও তার আইনজীবী।

ফরেনসিক প্রতিবেদন আগামী ২৮ ডিসেম্বর প্রকাশ হতে পারে। কারণ তদন্ত কর্মকর্তা এখন ছুটিতে আছেন। অথচ এর আগেই যে যার মতো মনগড়া ফরেনসিক রিপোর্টের তথ্য ফাঁস করছে, যা অনেকটাই আদালত অবমাননার শামিল। এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এ সময়ের আলোচিত নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি।      

হ্যাপি বলেন, গতকাল থেকে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করছি। কিছু মিডিয়া যে যার মতো ফরেনসিক রিপোট প্রকাশ করে যাচ্ছে। যা মিডিয়ার কাছে কোনোভাবেই আশা করি না। গত বুধবার দুপুরের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মিরপুর থানা পুলিশের হাতে আমার ফরেনসিক রিপোর্টের কপি তুলে দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ পারভেজ ছুটিতে থাকায় এ রিপোর্ট সম্পর্কে পুরোপুরি এখনো কিছুই বলা হয়নি। মিডিয়ার সবার কাছে  আমি জানতে চাই এ রকম একটি সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিসংগত হচ্ছে।

সাম্প্রতিককালে কোনোরকম দৈহিক সম্পর্ক হয়নি বলে কিছু কিছু খবর শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে হ্যাপি বলেন, দেখুন, সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে ২ ডিসেম্বর। আর মামলা করেছি ১৩ ডিসেম্বর। সাধারণত ৪৮ ঘন্টা পর দৈহিক মেলামেশার প্রমাণ ফরেনসিক রিপোর্টে খুব একটা ফুটে ওঠে না। তবে এটা আমাকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে,একজনের সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা হয়েছে,এমন তথ্য রিপোর্টে উঠে এসেছে। তবে কার সঙ্গে হয়েছে তা ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না। এ বিষয়ে হ্যাপি আরও বলেন, শিগগির আদালতে পিটিশন দেব।  যাতে রুবেলের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।  তখনই আসল সত্য প্রকাশ হবে।

 কারণ, আমি কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেইনি। এ বিষয়ে হ্যাপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার বলেন, এ রকম একটি স্পর্শকাতর মামলা নিয়ে মনগড়া কথোপকথন প্রকাশ যুক্তিসংগত নয়। মনে রাখতে হবে, রিপোর্ট প্রকাশের আগে বিভিন্ন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরাত দিয়ে মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশ উচিত নয়। কারণ এটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইন অবমাননার শামিল। দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে রিপোর্ট প্রকাশ করুক, এটাই প্রত্যাশা। এ ছাড়া শিগগির আদালতে একটি পিটিশন দেব, যেন রুবেলের ডিএনএ টেস্ট করা হয়। ওই টেস্ট সম্পন্ন হলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এর পর হ্যাপিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে মিরপুর থানায় নিয়ে তাকে মামলা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাসায় পাঠানো হয়।  রুবেল হোসেন চার সপ্তাহের আগাম জামিনে রয়েছেন। গত বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ পুলিশের হাতে যে প্রতিবেদন তুলে দেয়, সে প্রতিবেদনের নোটে লেখা আছে, ‘দ্য ভিকটিম হ্যাজ নো ফাউন্ড রিসেন্টলি সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স অন হার বডি।’