Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

হামশকলস বিশ্বের সবচেয়ে বাজে সিনেমা

জুলাই ২৫, ২০১৫, ০৮:৪৯ এএম


হামশকলস বিশ্বের সবচেয়ে বাজে সিনেমা

        বলিউডে সাম্প্রতিক সময়ের পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় সাজিদ খান। ২০০৬ সালে ডরনা জরুরি হ্যায়, ২০০৭ সালে হেই বেবি, ২০১০ সালে হাউসফুল, ২০১২ সালে হাউসফুল টু, ২০১৩ সালে হিম্মতওয়ালা-এর মতো ব্যবসা সফল সিনেমা পরিচালনা করেছেন তিনি। পেয়েছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

তার সর্বশেষ পরিচালিত হামশকলস সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ২০১৪ সালে। অন্যান্য সিনেমাগুলোর মতোই বেশ দরদ দিয়ে এই সিনেমাটি তৈরি করেছিলেন সাজিদ খান। তবে এবারের পরিশ্রম বৃথা যায় তার। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে হামশকলস। কিন্তু তাই বলে সিনেমাটি নিয়ে এমন বিব্রতকর কিছু যে তার জন্য অপেক্ষা করছে, সেটা বোধহয় আন্দাজও করতে পারেননি তিনি।

উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে, সাজিদের হামশকলস বিশ্বের সবচেয়ে বাজের সিনেমাগুলোর মধ্যে একটি! List of films considered the worst নামে সার্চ ইঞ্জিনে টাইপ করলে উইকিপিডিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বাজে সিনেমার তালিকার যে পাতাটি খুলছে, তাতে জলজল করছে হামশকলস-এর নাম।

এমনিতেই সিনেমাটি রিলিজ় হওয়ার পর এর অভিনেতা সাইফ আলি খান থেকে বিপাশা বসু, সকলেই এই সিনেমায় অভিনয়টা নিজেদের ‘ভুল সিদ্ধান্ত’-বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। অভিনেতাদের থেকে এমন সব প্রতিক্রিয়া পেয়ে স্বভাবতই খুশি হননি সাজিদ। কিন্তু একের পর এক রিভিউয়ে সিনেমাটির রেটিং পড়তে থাকে। এমনকি বাজে সিনেমা হিসেবে বলিউডের গোল্ডেন কলা অ্যাওয়ার্ডও জিতে নিয়েছিল সিনেমাটি। সাজিদ অবশ্য সেটিকে হালকাভাবেই নিয়েছিলেন।

কেননা এমন তো বছর বছর হচ্ছে। অনেক সিনেমাই বাজে সিনেমার তকমা পাচ্ছে। কিন্তু, উইকিপিডিয়া? সেখানে নাম ওঠা তো আর যে সে বিষয় নয়। ১৯৩০ সাল থেকে বাজে সিনেমার এই লিস্টটি শুরু করেছে উইকিপিডিয়া। লিস্টে নথিভুক্ত হয়েছে ২০১৪-১৫ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বাজে সিনেমাগুলোর নাম। তালিকায় ভারতের ৩টি সিনেমা রয়েছে। ২০০৭-এর আগ, ২০১৪-র মাছলি জল কি রানি হ্যায় এবং হামশকলস।

ঘটনাটি সামনে আসার পর থেকে সোশ্যাল সাইটে পোস্টের ছড়াছড়ি। এবার কী বলবেন সাজিদ খান? এটিকে কি হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেবেন? নাকি উইকিপিডিয়া বলে ব্যাপারটিকে সিরিয়াসলি নেবেন? প্রশ্নের পর প্রশ্ন সোশ্যাল সাইটে।