Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

রুবেলের ডিএনএ পরীক্ষা জন্য নির্দেশ

জানুয়ারি ১, ২০১৫, ০৫:৪১ এএম


রুবেলের ডিএনএ পরীক্ষা জন্য নির্দেশ

  জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্রের নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা ধর্ষণ মামলার রুবেলের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
 মিরপুর থানায় দায়ের করা এ মামলায় এসআই মাসুদ পারভেজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে এ আবেদন করেন। আদালত শুনানী শেষে উপরোক্ত মর্মে নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার আবেদনে উল্লেখ করেন যে, এ মামলায় ভিকটিম নাজনীন আক্তার হ্যাপির উপস্থাপন এবং ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার পূর্বক জব্দকৃত আলামত ডিএনএ পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
কারণ এ আলামত ভিকটিতের কিনা তা মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে ডিএনএ এনালিষ্ট ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরী অব বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি মালিবাগ, ঢাকা কর্তৃক পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
আলামত গুলো হলো- ১ টি সাদা কালো রংগের ব্যবহৃত পাপোজ, যার দৈর্ঘ ২.৫০ফুট ও প্রস্থ ১.৫০ফুট, ১ টি আকাশী ও সাদা রংগের হাতা ছাড়া বা ম্যাগী হাতা জার্সি, ১ টি লাল রংগের ব্যবহৃত নাইট পোশাক।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
এর পর হ্যাপিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে তার  প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে মিরপুর থানায় নিয়ে তাকে মামলা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাসায় পাঠানো হয়।  রুবেল হোসেন চার সপ্তাহের আগাম জামিনে রয়েছেন।

গত বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ পুলিশের হাতে যে প্রতিবেদন তুলে দেয়, সে প্রতিবেদনের নোটে লেখা ছিল, ‘দ্য ভিকটিম হ্যাজ নো ফাউন্ড রিসেন্টলি সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স অন হার বডি।’ সাম্প্রতিককালে কোনোরকম দৈহিক সম্পর্ক হয়নি বলে কিছু কিছু খবর শোনা যাচ্ছিল। তখন এ বিষয়ে জানতে চাইলে হ্যাপি বলেছিলেন, দেখুন, সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে ২ ডিসেম্বর। আর মামলা করেছি ১৩ ডিসেম্বর। সাধারণত ৪৮ ঘন্টা পর দৈহিক মেলামেশার প্রমাণ ফরেনসিক রিপোর্টে খুব একটা ফুটে ওঠে না।
তবে এটা আমাকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে,একজনের সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা হয়েছে,এমন তথ্য রিপোর্টে উঠে এসেছে। তবে কার সঙ্গে হয়েছে তা ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না। এরই প্রেক্ষিতে আদালতে আবেদন করা হয়।