Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

বাংলাদেশের শুরুটা কী তাহলে তকদীর দিয়েই!

জানুয়ারি ৫, ২০২১, ০৬:৩৫ এএম


বাংলাদেশের শুরুটা কী তাহলে তকদীর দিয়েই!

গল্পের শুরুটা হয় একজন লাশবাহী ফ্রিজার গাড়ির ড্রাইভার তকদীরকে নিয়ে। হঠাৎই নিজের গাড়িতে একটি অজ্ঞাত লাশ আবিষ্কার করে তকদীর। কী করবে ভেবে না পেয়ে সঙ্গী মন্টুকে নিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধারের পথ খুঁজতে থাকে তকদীর। 

কিন্তু জটিলতা শুরু হয় যখন লাশটিকে মুন্সিগঞ্জে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ফোন আসতে শুরু করে। টিভিতে দেখানো নিখোঁজ সংবাদিক আফসানার ছবির সাথে লাশের চেহারার মিল দেখে তকদীর বুঝতে পারে চোরাবালিতে আটকে গেছেন তিনি। প্রতি মুহুর্তেই যেন বাড়তে থাকে জটিলতা। 

অবশেষে কী তকদীর এই জটিলতা ভেঙে বের হয়ে আসতে পারবে, না সাংবাদিক আফসানার খুনের অভিযোগে যেতে হবে জেলে?

এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে বাংলাদেশের ওয়েব সিরিজ ‘তকদীর’এ। ওয়েব সিরিজটি ইন্ডিয়ার ওটিটি প্লাটফর্মে রিলিজ পেয়েছে। দর্শক চাহিদা মেটাতে হিন্দি ভার্সনেও ড্রাবিং করা হয়েছে। 

তকদীরের গল্পটি খুব নতুন না হলেও, গল্পের প্রতিটি মোড় আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে। পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকী খুব চালাকী করেই যেন পদে পদে গল্পের ভাঁজ খুলেছেন। একেবারে সব কিছু দেখাতে চাননি, বরং দর্শক কে একটু ভাবাতে চেয়েছেন।

মন্টু আর তকদীরের মতো দর্শকদের কাছেও ধীরে ধীরে জট খুলতে থাকে গল্পের। তবে শুরুতে ধীর গতিতে চলতে চলতে যেন শেষটা খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। যেখানে গল্পের একটা দুর্বলতা তৈরি হয়ে গেছে।

তবে এই কমতিটুকু ঢেকে গেছে অভিনেতাদের অসাধারণ অভিনয়ে। তকদীরের নাম ভূমিকায় চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় মন ছোঁয়া হলেও যেন সোহেল মন্ডলের মন্টু চরিত্রটাই রাজ করেছে সবার মনে। যতটুকু সময় পর্দায় সানজিদা প্রীতি এবং মনোজ কুমার প্রামানিক ছিলেন, ভালো ছিল। তবে তাদেরকে আর একটু দেখার বাসনা যেন থেকেই গেছে। এছাড়াও পার্থ বড়ুয়া, এজাজ বারী, ইন্তেখাব দিনার নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন দুই বাংলাতেই ওটিটি মাতাচ্ছে তকদীর। 

তকদীর প্রমাণ করে দিয়েছে ভালো মানের গল্প, অভিনয় আমাদের দেশেও সম্ভব হতে পারে। শুধু প্রয়োজন প্রতিভাবানদের সুযোগ দেওয়া এবং ভালো গল্পগুলো বেছে নেওয়া।

আমারসংবাদ/এডি/জেডআই