Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

বিচারপতির মেয়ের ভিডিও বানানো কে এই মাহসান স্বপ্ন? 

বিনোদন প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৪, ২০২১, ০৫:৩০ এএম


বিচারপতির মেয়ের ভিডিও বানানো কে এই মাহসান স্বপ্ন? 

সাবেক বিচারপতির মেয়ে তার এক মেয়ে নায়িকা। ছেলেরাও বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন। অথচ ওই নারী রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করছেন কিশোরী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে।

সম্প্রতি এমনই একটি নারী ভিক্ষুকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে মজার টিভির ফেসবুকে পেজ থেকে। তারপর ওই নারীর বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মাহসান স্বপ্ন এবং ভাইরাল ওই নারীর বিরুদ্ধে। এরপর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে বেশ আলোচিত মাহসান স্বপ্ন।

বিচারপতি (অব.) শামছুল হুদা বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ডায়েরিটি করেন। জিডি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন উল্লেখ করে স্বপ্ন বলেন, ‘ধানমন্ডির একটি সড়ক দিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একজন মহিলা হাউমাউ করে কান্না করছে।

তার পাশে গিয়ে দেখলাম সেখানে লেখা, আমি বিচারপতি শামসুল হকের মেয়ে। আমাকে সাহায্য করুন। তারপর আমি ওই মহিলার মেডিকেলের পেপারগুলো দেখি এবং বিচারপতির নাম প্রকাশ না করে ভিডিও প্রকাশ করেছি। আমি বিচারপতি শব্দটি উল্লেখ করেছি কিন্তু উনার নাম প্রকাশ করিনি। তাকে হুমকি দেওয়ার যে বিষয় জিডিতে বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী উনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবেন না। আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি আইনের আশ্রয় নিব। আমার কাছে যথেষ্ঠ প্রমাণ আছে। সময় হলে সেগুলো আমি প্রকাশ করব।

মাহসান স্বপ্ন বলেন, ইতোপূর্বে অনেকে প্রতারণা করেছে কিন্তু আমার এখানে খুব স্বচ্ছ আছে। আমি রোগীর মুখ থেকেই উনার ফোন নম্বর বলতে বলি এবং রোগীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেই। আমার সঙ্গে অনেক রোগী নিজ থেকেই যোগাযোগ করে তাদের রিপোর্টের সত্যতা জেনেই তাকে নিয়ে প্রতিবেদন করি। এর জন্য আমি এক পয়সাও নেই না। আমার দিক থেকে শতভাগ স্বচ্ছ আছি, যে কোনো চ্যালেঞ্জ আমি নিতে পারব।

মাহসান স্বপ্ন তার মজার টিভি প্রসঙ্গে  বলেন, ২০১৫ সালে ‘মজার টিভি’ ইউটিউব যাত্রা শুরু করে। শুরুতে আমি ফানি ভিডিও, প্র্যাঙ্ক ভিডিও করি। হিরো আলমের ইন্টারভিউ করার মাধ্যমে দেশবাসী আমাকে চিনে। প্র্যাঙ্ক ভিডিও দেশের মানুষ পছন্দ করে না। তারপর আমি প্র্যাঙ্ক ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই এবং সাক্ষাৎকারভিত্তিক কনন্টেন্ট বানানো শুরু করি। বর্তমানে আমার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১০ লাখের বেশি। আর ফেসবুকে পেজের ফলোয়ার প্রায় সাড়ে সাত লাখ।’

মাহসান আরও বলেন, ২০১৯ সালে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আমার মা। মাকে বাঁচাতে সে সময় অনেকের সাহায্য চেয়েছিলাম তিনি কিন্তু আশানুরূপ সাড়া পায়নি। মায়ের মৃত্যুর পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। অসহায় মানুষকে সাহায্য করার। অসুস্থ, অসহায় যাদের আর্থিক সাহায্য দরকার তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা টাকার জন্য চিকিৎসা করতে পারেন না আমি তাদের নিয়ে মজার টিভিতে প্রতিবেদন করা শুরু করি।

আমারসংবাদ/এমএস