Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

শুভ জন্মদিন পপ সম্রাট

বিনোদন ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৪:৩৫ এএম


শুভ জন্মদিন পপ সম্রাট

তার কণ্ঠে উন্মোচিত হয়েছিল বাংলাগানের নতুন ধারা। দেশীয় পপগানের আকাশে তিনি ঘটিয়েছিলেন নতুন সূর্যোদয়। যে কারণে বাংলাদেশের সঙ্গীত অঙ্গনের সব তারকারা ভালোবাসায় এবং শ্রদ্ধায় তাকে বসিয়েছেন পপ গুরুর আসনে। বলছি পপ সম্রাট আজম খানের কথা। আজম খান একাধারে একজন বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী, অভিনেতা, ক্রিকেটার ও বিজ্ঞাপনের মডেল ছিলেন।

আজম খানের সংগীত জীবনের শুরু হয় ৬০ দশকের শুরুর দিকে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি ‘ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী’র সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচার করেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে সেকশন কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন আজম খান।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। গড়ে তুলেন ব্যান্ডদল ‘উচ্চারণ’। ১৯৭২ সালে বিটিভিতে আজম খানের ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ ও ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি সরাসরি প্রচারিত হলে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ওই বছরই নটরডেম কলেজের প্রাঙ্গণে আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো দর্শকের সামনে গান করেন তিনি। 

১৯৭৪ সালে তার গাওয়া ‘বাংলাদেশ’ গানটি সারা দেশে হৈচৈ ফেলে দেয়। এরপর তার হাত ধরেই বাংলা গান খুঁজে পায় নতুন মাত্রা।

১৯৮২ সালে আজম খানের প্রথম গানের ক্যাসেট ‘এক যুগ’ প্রকাশ হয়। এরপর একে একে বেশ কিছু অ্যালবাম বাজারে আসে। সংগীত ক্যারিয়ারে এই শিল্পী প্রায় ১৭টি এককসহ একাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামের গান গেয়েছেন।

আলাল ও দুলাল, অনামিকা, হারিয়ে গেছে, বাংলাদেশ, ওরে সালেকা ওরে মালেকা, আসি আসি বলে, আমি যারে চাইরে, পাপড়ী, অভিমানি, এই গান শেষ গান ইত্যাদি আজম খানের গাওয়া উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় গান। 

গুণী এই শিল্পী ১৯৫০ সালে আজকের এই দিনে ঢাকার আজিমপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার আসল নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান।  

ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে সবাইকে কাদিয়ে, ২০১১ সালের ৫ই জুন শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন আজম খান। ২০১৯ সালে তাকে দেয়া হয় মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’। 

আমারসংবাদ/এডি