Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

৩৮ বসন্তে জয়া আহসান

বিনোদন ডেস্ক

জুলাই ১, ২০২১, ০৮:১৫ এএম


৩৮ বসন্তে জয়া আহসান

নব্বই দশকের শেষদিকে মডেল হিসেবে যাত্রা শুরু। শুরুতেই বাজিমাত করেন তিনি। এরপর নাম লেখান নাটক-টেলিছবির অভিনয়ে। সেখানে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে  আসেন সিনেমায়। এরপরের গল্পটা কেবলই সাফল্যের।  

একের এক পর চমক দেখিয়ে চলেছেন বৈচিত্রময় চরিত্রে। ঢাকার পাশাপাশি তার অভিনয়ের মায়ায় বাঁধা পড়েছে কলকাতার সিনেমার দর্শকও। বলছি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের কথা।

বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা তা জয়াকে দেখলেই উপলব্ধি করা যায়। ক্যালেন্ডারের পাতা বদলের সঙ্গে সঙ্গে সবার রূপ-যৌবনে ভাটা পড়ে, কিন্তু তার ক্ষেত্রে সেই চিরায়ত নিয়ম একটু ব্যতিক্রম। কেননা বয়সের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও তার রূপ-লাবণ্য ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে! যেন কোনো জাদুকরী উপায়ে বয়সটাকে আটকে রেখেছেন তিনি।যে কোনো অষ্টাদশী অভিনেত্রীকে সহজেই মাত দিতে পারেন। 

তার অভিনয় নিয়ে তো নতুন করে বলার কিছু নেই। তার অভিনয় আর সৌন্দর্যে মুগ্ধ দুই বাংলার আপামর দর্শক। 

১৯৮৩ সালের আজকের দিনে (১ জুলাই) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। একে একে জীবনের ৩৭ বসন্ত পার করে ৩৮ বসন্তে পা রাখলেন জয়া। তার আসল নাম জয়া মাসউদ। ছোটবেলা থেকেই নাচ, গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকাও শিখেছিলেন।

ছোট পর্দা দিয়েই শুরু হয়েছিলো জয়ার ক্যারিয়ার। বহু নাটক, টেলিফিল্মে অভিনয় করে নিজের প্রতিভার জানান দিয়েছেন, আবার বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে কেড়েছেন দর্শকদের নজর।

‘এনেছি সুর্যের হাসি’, ‘শঙ্খবাস’, ‘আমাদের ছোট নদী’, ‘কফি হাউজ’, ‘দরজার ওপাশে’, ‘লাবণ্য প্রভা’, ‘মানুষ বদল’ ও ‘সম্পর্কের গল্প’ ইত্যাদি। এছাড়া তিনি ‘হাটকুঁড়া’, ‘জাল’, ‘জননীর কান্না’, ‘কুহক’, ‘পাঞ্জাবীওয়ালা’, ‘হ্যালোউইন’, ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’, ‘অফ বিট’, ‘আমাদের গল্প’ এবং ‘তারপরেও আঙুরলতা নন্দকে ভালোবাসে’ ইত্যাদি জয়া অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক।

বড়পর্দায় তার যাত্রা শুরু হয় পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমা দিয়ে।শুরু থেকেই জয়া বরাবরই সময় নিয়ে সিনেমা করেছেন। 

যার ফলে তার একটি সিনেমা থেকে অন্যটির মধ্যকার সময় বেশ লম্বা। ‘ব্যাচেলর’-এর পর ৬ বছর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় সিনেমায় কাজ করেন তিনি। সেটি ছিল নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাঁতার’। 

অবশ্য প্রথম দুটি সিনেমার কোনোটিই সেভাবে সাফল্য পায়নি। জয়া মূলত জনপ্রিয়তার সারিতে আসেন ২০১১ সালে। সে বছর মুক্তি পাওয়া ‘গেরিলা’ সিনেমায় তার অনবদ্য অভিনয় জয় করে নেয় দর্শক-সমালোচকদের মন। এই সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। 

দেশের ইন্ডাস্ট্রিতে জয়া অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- ‘চোরাবালি’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’, ‘জিরো ডিগ্রি’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ২’, ‘পুত্র’, ‘খাঁচা’ ও ‘দেবী’।

 ২০১৩ সালে  ‘আবর্ত’ সিনেমা দিয়ে কলকাতার সিনেমায় পথচলা শুরু হয় জয়ার।যেটি নির্মাণ করেছিলেন অরিন্দম শীল। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু সফল ও প্রশংসিত সিনেমা   ‘রাজকাহিনী’, ‘ক্রিসক্রস’, ‘ভালোবাসার শহর’, ‘বিসর্জন’, ‘বিজয়া’, ‘কণ্ঠ’ ও ‘রবিবার’-এ অভিনয় করেছেন জয়া।

অভিনয়ের নৈপুণ্যে জয়া যেমন মুগ্ধ করেছেন সবাইকে, তেমনি ভারী হয়েছে তার পুরস্কারের পাল্লা। এ পর্যন্ত তিনি চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুইবার বাচসাস পুরস্কার, সাতবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, দুইবার ভারতের ফিল্মফেয়ার (পূর্ব) এবং একবার টেলি সিনে পুরস্কার অর্জন করেছেন। দুই বাংলাতেই এখন কেবল জয়া আহসানের জয়জয়কার। 

আমারসংবাদ/এডি