ঢাকা
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,
বিনোদন ডেস্ক
অক্টোবর ২৭, ২০২১, ০৭:৫৫ এএম
গত ২৫ দিন ধরে হেফাজতে ছেলে। আরিয়ানের চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে শাহরুখ-গৌরীর। মাদক-কাণ্ডে অভিযুক্ত আরিয়ান, দেশের কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনা হয়েছে শাহরুখ পুত্রের বিরুদ্ধে। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল শাহরুখ খানের একটি ছবি। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়া এক বাবার ছবি ধরা পড়েছে।
চোখের নীচে কালি, লাল হয়ে ফুটে রয়েছে চোখ, মুখ ভর্তি কাঁচা-পাকা দাঁড়ি, এলোমোলো চুল- পুরোদস্তুর বিধ্বস্ত শাহরুখ খান। এমন শাহরুখকে দেখতে অভ্যস্ত নয় তার অনুরাগীরা।
বিদ্যুত গতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ছবি। কিন্তু আদেও কী সত্যি এই ছবি নাকি পুরোটাই টেকনোলজির কারসাজি?
ভাইরাল ছবিতে গাড়ির ভিতর বসা কিং খান লেন্সবন্দি হয়েছেন। আর্থার রোড জেলে আরিয়ানের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পর শাহরুখের এই ছবি বলে রটে গিয়েছে সোশ্যালে। জেলবন্দি ছেলে, ইমেজ নষ্টের আশঙ্ক্ষা- চাপের জেরেই নাকি এই হাল শাহরুখের!
যদিও যাচাই করে দেখা গিয়েছে শাহরুখের এই ভাইরাল ছবি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। ২০১৭ সালের, অর্থাত্ চার বছর পুরোনো ছবি। সেই সময় আলিয়া ভাটের জন্মদিনের পার্টিতে যাওয়ার সময় চিত্র সাংবাদিকদের লেন্সেবন্দি শাহরুখ। তাঁর মুখের অভিব্যক্তিতে যে চিন্তা ধরা পড়েছে, তা আসলে ওই চিত্রসাংবাদিকের জন্য। ছবি তোলার সময় শাহরুখের গাড়ির সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়েন তিনি, এর জেরে চোটও লাগে তাঁর। তবে চোখের তলার কালি কিংবা কান্নার ছাপ বোঝাতে চোখ লাল করবার মতো বিষয়গুলো ফটোশপের সাহায্য করা হয়েছে।
[media type="image" fid="147890" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]
মাদক কাণ্ডে আরিয়ানের গ্রেপ্তারির পর একবারই জনসমক্ষে এসেছেন শাহরুখ। গত ২১ অক্টোবর আর্থার রোড জেলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিনেতা। নিময় মেনেই সেখানে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন বাদশা।
বাবা-ছেলের মাঝে ছিল লোহার গ্রিল আর কাঁচের দেওয়াল। করোনার জেরে এখন অভিযুক্ত বা আসামিদের সঙ্গে পরিজনেরা দূরত্ব বজায় রেখেই সাক্ষাৎ করতে পারে। বাবাকে দেখে ‘আই অ্যাম সরি’ বলে কেঁদে ফেলে আরিয়ান। শাহরুখ সান্ত্বনা দিয়ে ছেলেকে বলেন, ‘আই ট্রাস্ট ইউ বেটা’। এমনই খবর জেলসূত্রে।
গতকাল বম্বে হাইকোর্টে আরিয়ানের জামিনের আর্জির প্রথম দফার শুনানি হয়েছে। আজ ফের শাহরুখ পুত্রের আবেদন শুনবে কোর্ট।
আমারসংবাদ/এডি
