Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

‘সন্তান জন্ম দেওয়ার এত দরকার কেন?’, প্রশ্ন তসলিমা নাসরিনের

বিনোদন ডেস্ক

জানুয়ারি ১২, ২০২২, ০৮:২০ এএম


‘সন্তান জন্ম দেওয়ার এত দরকার কেন?’, প্রশ্ন তসলিমা নাসরিনের

‘সন্তান জন্ম দেওয়ার এত দরকার কেন? মেয়েরা, এমনকী প্রতিষ্ঠিত, সমাজের নানা নিয়ম ভেঙে ফেলা সাহসী মেয়েরাও, তিরিশ পার হলেই সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে!’ 

মঙ্গলবার রাতে তসলিমা নাসরিনের এই পোস্ট প্রশ্ন তুলেছে, নাম না করে পরীমনিকেই কি বিঁধলেন তিনি? 

কারণে অকারণে শিরোনামে থাকেন পরী। এর আগেও ব্যক্তিগত কারণে আলোচনায় এসেছেন বারবার। এবার  অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়ে দুই বাংলার শিরোনামে এই নায়িকা। 

অভিনেতা শরিফুল রাজের সন্তান গর্ভে ধারণ করেছেন পরী। গেল বছরের ১৭ অক্টোবর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই খবর গত সোমবার সকলের সামনে আসে। আর তা জানাজানির পর থেকেই টক অফ দ্যা টাউন হয়ে গেছে। 

তার পরেই তসলিমার পোস্ট নজরে পড়ে সবার। দুই তারকার অনুরাগীদের অনুমান, এই পোস্ট সম্ভবত পরীর উদ্দেশেই লেখা।

যৌন হেনস্থা থেকে মাদক মামলা--- সম্প্রতি পরীমনির জীবনে ঘটে যাওয়া একের পর এক অঘটনে তাকে খোলাখুলি সমর্থন জানিয়েছেন জনপ্রিয় এই লেখিকা। পরীমনির সাহস তাকে মুগ্ধ করেছিল সে সময়ে। তার পরেই বাকি মেয়ের মতোই গোপনে বিয়ে এবং প্রকাশ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া বোধ হয় ব্যতিক্রমী নায়িকার থেকে আশা করেননি তিনি। 

তসলিমা যে কোনও বিষয়েই তার মতপ্রকাশের জন্য বেছে নেন ফেসবুককে। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। লেখিকার মতে, ‘এই ব্যাকুলতা কতটা নিজের জন্য, কতটা পুরুষতান্ত্রিক রীতিনীতি মানার জন্য? আমি কিন্তু মনে করি নিজের জন্য নয়। মেয়েরা সন্তান জন্ম দিতে চায় সমাজের দশটা লোকের জন্য। বাল্যকাল থেকে শুনে আসা, শিখে আসা 'মাতৃত্বেই নারীজন্মের সার্থকতা' জাতীয় বাকোয়াজ মস্তিস্কে কিলবিল করে বলেই মনে করে ইচ্ছেটা বুঝি নিজের।’

তসলিমার এই কথার কিছুটা সমর্থন মিলেছে পরীমনির কথাতেই। মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ‘গুণিন’ ছবির ছোট্ট ঝলক পোস্ট করা হয়। সেখানে নেপথ্য কাহিনি হিসেবে রাজ-পরীর বিয়ের দৃশ্য (পর্দায় না বাস্তবে?) দেখানো হয়েছে। বেনারসি, গয়নায় সেজে ওঠা পরী প্রতি মুহূর্তে নিজেকে আয়নায় দেখতে ব্যস্ত। তার পর রাজের সঙ্গে মালাবদল। পাল্কি চড়ে তিনি শ্বশুরবাড়ির পথে। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এই রকম বিয়ের স্বপ্নই আমি বরাবর দেখে এসেছি!’’ তা হলে কি তসলিমার কথাই ঠিক?

উত্তর অজানা। তবে তসলিমার যুক্তি, ‘পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা প্রায় আটশ' কোটি। এত ভিড়ের পৃথিবীতে আপাতত কোনও নতুন জন্ম কাঙ্ক্ষিত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু মেয়েরা যদি ভেবে নেয় জন্ম না দিলে তাদের জীবনের কোনও অর্থ নেই, তা হলে তারা যে ভুল তা তাদের বোঝাবে কে! সন্তানের জন্ম তারা দিতেই পারে যদি এমনই তীব্র তাদের আকাঙ্ক্ষা, তারপরও এ কথা ঠিক নয় জন্ম না দিলে তাদের জীবনের কোনও অর্থ নেই। কোনও কোনও মানুষ তাদের জীবনকে শখ করে অর্থহীন করে। তা ছাড়া, কারও জীবনই অর্থহীন নয়। বরং যে ভ্রূণ আজও জন্মায়নি, সে ভ্রূণ অর্থহীন!

আমারসংবাদ/এডি